ইংরেজি শিখতে চ্যাটজিপিটি কাজে লাগাবেন কীভাব
Published: 15th, June 2025 GMT
স্কুল-কলেজে প্রায় ১২ বছর ইংরেজি শেখার পরও আমাদের ইংরেজিভীতি কাটে না। কেন? মূল কারণ—চর্চা না করা। আমরা ইংরেজিকে স্রেফ একটা ভাষা নয়, ‘পরীক্ষার বিষয়’ ভাবি। জড়তার জন্যই হোক, কিংবা প্রয়োজনীয় সুযোগের অভাব, আনন্দ নিয়ে ভাষাটা আর শেখা হয়ে ওঠে না।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) এই যুগে এসব বাধা অতিক্রম করা কিন্তু খুব সহজ। এমন অনেক ওয়েবসাইট, অ্যাপ আছে, যা আপনাকে ইংরেজি চর্চা করতে সাহায্য করবে। চ্যাটজিপিটি নামের টুলটি যেমন এখন বেশ জনপ্রিয়। এটি ব্যবহার করে আপনি ইংরেজি বলা ও লেখার দক্ষতা ঝালাই করে নিতে পারেন।
লেখালেখি শিখতে চ্যাটজিপিটিইংরেজি নিবন্ধ বা রচনা লেখার ক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ অনুভব করি। কোন শব্দ ব্যবহার করব, কীভাবে বাক্য গঠন করব, কীভাবে লেখাটি প্রাসঙ্গিক ও প্রাঞ্জল হবে? চ্যাটজিপিটি এ ক্ষেত্রে শুধু যে আপনার লেখার ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেবে তা নয়, পরামর্শক হিসেবে কীভাবে লেখাটি ভাষাগত দিক থেকে আরও উন্নত করা যায়, এ-ও বলবে।
প্রথমে নিজের মতো করে একটি রচনা লিখুন। তারপর চ্যাটজিপিটিকে বলতে পারেন—Please correct my English writing and give feedback on grammar and sentence structure (আমার ইংরেজি লেখায় কোনো ভুল থাকলে সংশোধন করে দাও। ব্যাকরণ ও বাক্যের ধরনের ক্ষেত্রে কোনো পরামর্শ থাকলে তা-ও জানাও)। চাইলে আপনি প্রম্পটগুলো বাংলাতেও লিখতে পারেন। কিন্তু ইংরেজিতে লিখলে লেখালেখির চর্চাটাও হয়ে যাবে। চাইলে চ্যাটজিপিটিকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে রচনা লিখে দিতেও বলতে পারেন। যেমন: Write a 150-word paragraph on climate change for university students.
চ্যাটজিপিটির সুবিধা হলো, আপনি যেভাবে ওকে ভুল ধরিয়ে দিতে বলবেন, যেভাবে সাহায্য চাইবেন, ও ঠিক সেভাবেই উপস্থাপন করবে।
ইংরেজি বলা শিখতে চ্যাটজিপিটিইংরেজি বলা শিখতে হলে চর্চার কোনো বিকল্প নেই। একসময় বলা হতো, বন্ধুদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলো, তাহলে জড়তা কেটে যাবে। কিন্তু সংকোচের কারণে, কিংবা জুতসই সঙ্গী না পাওয়ার কারণে আমরা অনেকেই এই উদ্যোগ নিতে পারতাম না। চ্যাটজিপিটি থাকায় কিন্তু এ সমস্যা আর নেই। যেকোনো জায়গায় বসে, যখন খুশি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ইংরেজিতে আলাপ চালিয়ে যেতে পারেন। শুধু ইন্টারনেট সংযোগ আর মুঠোফোন থাকলেই হলো। চ্যাটজিপিটিকে বলুন, Let’s have a conversation in English. Pretend you’re a foreign student, and I’m introducing myself. এরপর চ্যাটজিপিটিই হয়তো আপনাকে প্রশ্ন করবে, Hi, nice to meet you! Where are you from?
আরও পড়ুনচ্যাটজিপিটি ব্যবহারের বিপদগুলোও জেনে রাখুন১৮ মে ২০২৫ভুলভাল যা-ই হোক, আপনি আলাপ চালিয়ে যান। চ্যাটজিপিটিকে বলুন, Please correct my response and make it better. প্রতিদিন ১০ মিনিট করে আপনি বিনা মূল্যে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন। এতে করে আপনার ইংরেজিটা আরও প্রাঞ্জল ও আধুনিক হয়ে উঠবে। বিস্তারিত জানতে এই লিংক দেখতে পারেন।
শব্দভান্ডার বাড়ানো ও ব্যাকরণ শেখাইংরেজি শেখার মূল ভিত্তি হলো শব্দভান্ডার ও ব্যাকরণ। চ্যাটজিপিটি এই অংশটিকেও দারুণভাবে সহজ করে তুলেছে। নতুন শব্দ শেখার জন্য লিখুন, Give me 10 new academic English words with meanings and example sentences. ব্যাকরণ বোঝার জন্য লিখতে পারেন, Explain the difference between present perfect and past simple with examples. চ্যাটজিপিটি আপনাকে বিভিন্ন শব্দ উদাহরণ দিয়ে শেখাবে। যদি বলেন, ‘আমাকে তিন মাসের একটা কোর্স ডিজাইন করে দাও। প্রতিদিন তুমি আমাকে ১০টা করে নতুন ইংরেজি শব্দ শেখাবে।’ তাহলে সেই অনুযায়ী-ই চ্যাটজিপিটি আপনাকে সাহায্য করবে। নতুন শব্দ শেখার সময় এর প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দগুলোও জেনে নিন। নিজে নিজে বাক্য গঠন করে চ্যাটজিপিটিকে দেখান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই প্ল্যাটফর্মই আপনার ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেবে।
আইইএলটিএস, বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতিআইইএলটিএস, বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির ইন্টারভিউ বা বিদেশে মাস্টার্সের আবেদন প্রস্তুতির সহায়তাও নিতে পারেন চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে। ধরা যাক আপনি লিখলেন, Give me a mock IELTS speaking test with feedback. কিংবা Prepare common HR interview questions with sample answers. চ্যাটজিপিটি হয়তো আপনার কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য জানতে চাইবে। সেই অনুযায়ী উত্তর করলেই আপনি কাঙ্ক্ষিত সহায়তা পেয়ে যাবেন।
মনে রাখবেন, হুবহু চ্যাটজিপিটি থেকে কপি-পেস্ট করার অভ্যাস আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। এই প্ল্যাটফর্মকে বরং আপনার দক্ষতা উন্নয়নে কাজে লাগান। একে গাইড হিসেবে ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুনচ্যাটজিপিটি ছাড়া আরও যেসব এআই টুল আপনার জীবন সহজ করবে০১ জুন ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র ব য করণ আপন র আপন ক
এছাড়াও পড়ুন:
খেলাপি ঋণে বাংলাদেশ এশিয়ায় কেন শীর্ষে
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মন্দ বা খেলাপি ঋণ অনেক দিনের বিরাট সমস্যা। শুরুতে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় এ ব্যাধি বিদ্যমান হলেও পরবর্তী সময়ে বৃহৎ ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকেও ছড়িয়ে পড়ে। এটি, তথা ঋণখেলাপির সংস্কৃতি ধীরে ধীরে এক মহিরুহ আকার ধারণ করেছে।
গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতের লুকানো খেলাপি ঋণ বের হয়ে আসছে। আবার অনেক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ঋণও খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। তাতে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ এক বছরের ব্যবধানে মোট ঋণের ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের বিতরণ করা ঋণের এক-চতুর্থাংশের বেশি এখন খেলাপি।
সম্প্রতি প্রকাশিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণের দিক থেকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষে উঠে আসার বিষয়টি সামনে এসেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর আর্থিক বিভিন্ন সূচকের অবস্থা নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের তথ্য। তাতেই বাংলাদেশ শীর্ষে। এটি যে ২০২৫ সালে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তা আমরা জানি।
আগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কায়দায় বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হতো। অন্যদিকে সহজে ঋণ পুনঃ তফসিল ও পুনর্গঠন করার কারণেও খেলাপি ঋণ কম ছিল। এখন ঋণমানে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করা শুরু হয়েছে। আবার ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা ও আওয়ামী রাজনীতি–সমর্থিত ব্যক্তিদের ব্যবসা খারাপ হয়ে পড়ায় খেলাপি ঋণ বাড়ছে।
খেলাপি ঋণ এভাবে বাড়তে থাকলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, সন্দেহ নেই। ব্যবসা-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে উদ্যোগ নিতে হবে। যাঁরা ভালো ব্যবসায়ী, তাঁরা যেন আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। সেটি নিয়ে সরকার কাজও করছে।
এডিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। ২০২৩ সাল শেষে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে প্রতিবছরই বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের হার বেড়েছে। ২০২১ সালে এই হার ছিল ৮ শতাংশ, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মতো ২০২১ সাল থেকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার।
দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলোর খেলাপি ঋণ কমেছে। যেমন ভুটানের খেলাপি ঋণের হার ২০২০ সালে ছিল ১১ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালে কমে হয়েছে ৩ শতাংশ। ভারতের খেলাপি ঋণের হার ২০২০ সালে ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। মালদ্বীপের খেলাপি ঋণ এই সময়ে ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। একই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম খেলাপি ঋণ তাইওয়ান ও কোরিয়ার। দেশ দুটির খেলাপি ঋণের হার যথাক্রমে শূন্য দশমিক ১ ও শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০২৪ সাল শেষে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। ২০২৫ সালের জুন শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকায়, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের বিতরণ করা মোট ঋণের চার ভাগের এক ভাগের বেশি খেলাপি হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বলতে শুনেছি, গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে যে অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে, তা এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। আগেই বলেছি, ঋণখেলাপি হওয়ার নিয়ম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কারণেও দেশে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। যেসব ঋণ নবায়ন করা হয়, তার অনেকগুলো আদায় হচ্ছে না। অনিয়মের কারণে অনেক ঋণকে খেলাপি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগ। এতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, যা সামনে আরও বাড়তে পারে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন মোট খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। এর পর থেকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছিলেন, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নানা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বের করে নিয়ে যাচ্ছেন, যার একটা বড় অংশই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।
সূত্রগুলো বলছে, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ও বহুল সমালোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলোর ঋণের প্রকৃত চিত্র বের হতে শুরু করেছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। একইভাবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বেড়েছে। এই পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কাজ বাস্তবায়ন করতে এরই মধ্যে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তও হয়ে গেছে। পাশাপাশি সরকারি খাতের জনতা ও রূপালী এবং বেসরকারি খাতের ইউসিবি, আইএফআইসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ট্রাস্ট ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বেড়েছে।
পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, খেলাপি হয়ে পড়া প্রায় ১ হাজার ২৫০ প্রতিষ্ঠান বিশেষ ব্যবস্থার অধীন ঋণ পুনর্গঠনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠানের ঋণ নিয়মিত করার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন একটি বিস্তৃত নীতিমালা তৈরি করে ব্যাংকগুলোকে ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জানা গেছে, এই নীতিমালায় নির্দিষ্ট অর্থ জমা দিয়ে ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ঋণ পরিশোধে যতটা সময় অবকাশ পাবে, ওই সময়ে সুদ পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে খেলাপি ঋণ কমে আসবে বলে আশা করছেন অনেকে। তবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী না করলে কিংবা ব্যবসা পরিচালনায় মনোযোগী না হলে তার উল্টোটাও ঘটতে পারে। সুযোগের অসৎ ব্যবহারের উদাহরণ বাংলাদেশে অনেক।
সামগ্রিক ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে গেলে আমাদের দুষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি তথা স্বজনতোষী পুঁজিবাদ থেকে যেমন বেরিয়ে আসতে হবে, তেমনি ঋণ সম্প্রসারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। কমাতে হবে পরিচালকদের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ।
মামুন রশীদ ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
মতামত লেখকের নিজস্ব