ভারতের মহারাষ্ট্রের পুণেতে ভেঙে পড়েছে ইন্দ্রায়ণি নদীর সেতু। রোববার(১৫ জুন) বিকেলে কুন্দমালা গ্রামে এ ঘটনায় দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভেঙে পড়ার সময় সেতুর ওপর অন্তত ১৫০ জন ছিলেন। এখনো পর্যন্ত ৩২ জনকে নদীর থেকে উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকবিলা বাহিনী।  আরো ৩০ জন খরস্রোতা নদীর পানিতে ভেসে গেছে। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। 

গত দুই ধরে বৃষ্টি হচ্ছে পুণের ওই অঞ্চলে। জায়গাটি লোনাভেলার কাছে। রোববার ছুটির দিন থাকায় এবং বৃষ্টি কিছুটা কম হওয়ায় সেখানে পিকনিকের জন্য ভীড় জমান পর্যটকরা। 

স্থানীয়দের তথ্য মতে, নদীর সামনে কমপক্ষে ৫০০ জন পিকনিকের কারণে জড়ো হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১৫০ জন ওই সেতুতে হাঁটছিলেন। অনেকেই ছবি তুলছেন। এই সময় সেতু ভেঙে যায়। লোহার সেতুটি ব হু পুরনো। তাতে মরচে ধরেছিল। পর্যটকদের উঠতে মানাও করা হয়েছিল। কিন্তু অতি উৎসাহে তারা শোনেনি। 

দুর্ঘটনাস্থলটি মহরাষ্ট্রের মভল বিধানসভা আসনের মধ্যে পড়ে। সেখানকার বিধায়ক সুনীল শেখলে জানান, ইন্দ্রায়ণি নদীর উপর ওই লোহার সেতুটি প্রায় ৩০ বছরের পুরনো। গত দু’দিন ধরেই পুণের এই গ্রামে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তার ফলে নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, নদীর পানির তোড়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। 

তবে স্থানীয়দের মতে, এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন এই সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। গত ৪-৫ বছর ধরে এই সেতুটির কোনো সংস্কার হয়নি।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ