এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি
Published: 17th, June 2025 GMT
আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পেছানো নিয়ে ঢাকার সায়েন্সল্যাবে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় পূর্ব ঘোষিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে সায়েন্সল্যাব থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অভিমুখে ডাকা লং মার্চে অংশ নিতে জড় হয় কিছু শিক্ষার্থী। তবে তাদের সরিয়ে দেয় পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষের শিক্ষার্থীরা।
এইচএসসি পরীক্ষার পক্ষে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুব সৈকত বলেন, “আমরা যথেষ্ট সময় পেয়েছি। এই সময়ের মধ্যে ঠিকমত লেখাপড়া করলে ভালো ফলাফল করা সম্ভব। কিন্তু এখন কিছু কলেজের শিক্ষার্থীরা গত ১৬-১৭ মাস পড়েনি তারা এখন এসে পরীক্ষা পেছানোর দাবি করছে। যা একেবারেই অযৌক্তিক। এটা করা হলে আমরা অনেকটা পিছিয়ে পড়বো। যার ফলে ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় একটা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।”
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী সায়ের হোসেন রিফাত বলেন, “আমরা আজ এইচএসসি পরীক্ষার পেছানোর দাবিতে সায়েন্স ল্যাব থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অভিমুখে পরীক্ষার্থীদের ডাকা লংমার্চ করতে এসেছিলাম। জুলাই আন্দোলনের কারণে আমাদের পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হয়েছে৷ পাশাপাশি ৫ আগস্টের পর আমাদের অনেক শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতায় কাজ করেছে। যার ফলে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এখন আবার করোনা ছড়াচ্ছে। আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো হয়নি। তাই দুই মাস পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।”
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মো.
তিনি আরো বলেন, “যারা পরীক্ষা পেছানোর দাবি করছে তাঁরা ‘ভালো’ কোনো কলেজের শিক্ষার্থী না। আমরা ঢাকা কলেজ, নটরডেম কলেজ ও সিটি কলেজসহ বড় বড় কলেজের শিক্ষার্থীরা যথা সময়ে পরীক্ষা চাই।”
আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৬ জুন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি এমন থাকলেও পরীক্ষা যথানিয়মে ও নির্ধারিত সময়ে শুরু করা হবে। সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে একাধিক বিকল্পও ভেবে রাখা হচ্ছে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ফরম পূরণ করেছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। যদিও এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর মাত্র এক সপ্তাহ আগে; অর্থাৎ আগামী ১৮-১৯ জুন ফের ফরম পূরণের সুযোগ দিয়েছে ঢাকা বোর্ড। ফলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র শ ক ষ র থ পর ক ষ র থ ন পর ক ষ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। এ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১৩ নভেম্বর থেকে। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন যেসব শিক্ষার্থী
২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ভর্তির জন্য। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এ-লেভেল, ও-লেভেল ও বিদেশি সনদধারীদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে সরাসরি ডিন অফিসে বা ই–মেইলে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
যেসব শিক্ষার্থী গত দুই শিক্ষাবর্ষে (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল বা স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা এই শিক্ষাবর্ষে নতুন করে ভর্তি হতে পারবেন না। তবে পূর্ববর্তী ভর্তি বাতিল করে নতুন শিক্ষাবর্ষে আবেদন করতে পারবেন। একই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তাঁর উভয় ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।
আবেদন ফি ৪০০ টাকা
ভর্তি ফি হিসেবে প্রাথমিক আবেদন ফি ৪০০ টাকা, যার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ২৫০ টাকা এবং কলেজের অংশ ১৫০ টাকা। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন ফি ৭২০ টাকা জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে অনলাইনে নিশ্চয়ন করবে। তবে নিশ্চয়ন ছাড়া কোনো আবেদনকারীকে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আবেদন ফি ১৯ অক্টোবরের মধ্য জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা৪ ঘণ্টা আগেআবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে কোর্সভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। একই মেধা নম্বরপ্রাপ্ত হলে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ (৪০: ৬০ অনুপাতে) এবং প্রয়োজনে মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এরপরও সমতা থাকলে বয়স কম শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ধাপে ধাপে প্রথম মেধাতালিকা, দ্বিতীয় মেধাতালিকা, কোটার মেধাতালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে এবারও তৃতীয় রিলিজ স্লিপে আবেদন করার সুযোগ থাকবে না।
বিস্তারিত দেখুন এখানে
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সুযোগ পাবেন ৪৮ জেলার যুবরা১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫