ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদোন সা'র বলেছেন ইরানের সরকার পরিবর্তন করা ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, অভিযানের ফলে এটি ঘটতে পারে, কিন্তু এটি তাদের লক্ষ্য নয়।

মঙ্গলবার রিশন লেজিওন শহরে ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিবিসির

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের তিনটি লক্ষ্য- প্রথমত ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মারাত্মক ক্ষতিসাধন করা। এটি এখনো শেষ হয়নি।’

এছাড়া ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ক্ষতি করা তাদের দ্বিতীয় লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

আর তৃতীয় লক্ষ্য হলো ইসরায়েল রাষ্ট্র নির্মূলের পরিকল্পনার ক্ষতিসাধন করা।

এদিকে ইরানের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট (এইচআরএএনএ) জানায়, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ইরানে ৪৫০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এরমধ্যে বেসামরিক মানুষের সংখ্যা ২২৪। আর সামরিক বাহিনীর সদস্য ১০৯ জন। 

অন্যদিকে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে ইরানের হামলায় গুরুতর আহত ১৫৪ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার ইরানে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এরপর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। গত ৪ দিন ধরেই উভয় দেশেই একে অপরের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলের হামলার মুখে তেহরান ছাড়ছেন শহরটির অনেক বাসিন্দা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন

কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ