চাঁদপুরে ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবারহ বন্ধ
Published: 19th, June 2025 GMT
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থিত ভাসমান টার্মিনালে আমদানি করা তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) জাহাজ থেকে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে শুধুমাত্র চাঁদপুর জেলায় ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাখারাবাগ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড চাঁদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) প্রকৌশলী মীর ফজলে রাব্বী।
বাখারাবাগ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কুমিল্লা কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর জেলা শহরে বুধবার (১৮ জুন) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। কিছু সময় আবার পুরোপুরি বন্ধ থাকে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোর থেকেই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় আবাসিক গ্যাস সরবরাহ। এতে ভোগান্তিতে পড়েন আবাসিক গ্রাহকরা।
শহরের পুরাণ বাজার পূর্ব শ্রীরামদী এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী নাজমা আক্তার বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলে গ্যাস সরবারহ বন্ধ থাকে। বন্ধ হওয়ার আগে কোম্পানীর পক্ষ থেকে গ্রাহকদের সতর্ক করা এবং মাইকিং করে জানানো প্রয়োজন। তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”
শহরের নিউ ট্রাক এলাকার ঢালী বাড়ী এলাকার গৃহিনী ফাতেম আক্তার বলেন, “সকালে চুলায় আগুন দিতে গিয়ে দেখি খুবই কম গ্যাস উঠছে। সকাল ৮টার দিকে পুরোপুরি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। নাস্তা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। বাসায় অতিথি আছে। এমন পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করা খুবই কঠিন।”
প্রকৌশলী মীর ফজলে রাব্বী বলেন, “দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমে গেছে। চাঁদপুর এলাকার গ্যাসের একমাত্র সোর্স সাগরের এলএনজি।”
তিনি আরো বলেন, “তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি মহেশখালী টার্মিনাল হয়ে কুমিল্লার লাকসামের বিজরা নামক স্থান থেকে চাঁদপুরে আসে। সাগর উত্তাল কিংবা প্রাকৃতিক বৈরীভাব দেখা দিলে টার্মিনাল ও জাহাজের নিরাপত্তার স্বার্থে জাহাজ থেকে এলএনজি টার্মিনালে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে চাঁদপুর জেলার একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পাঁচটি সিএনজি স্টেশন-সহ ২০ হাজার গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।”
আবহাওয়ার বৈরীভাব চলে গেলে ন্যুনতন সময়ে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান এই ব্যবস্থাপক।
ঢাকা/অমরেশ/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ য স সরবর হ সরবর হ ব এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
জ্বালানি তেলের দাম এখনই বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম এখনই বাড়ছে না। তবে সংঘাত বেশি দিন হলে তখন একটা প্রভাব পড়বে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে আমাদের দেশের জ্বালানি তেলের দামে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ইরান- ইসরায়েল সংঘাত আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা দেখেছি, এরইমধ্যে কিছুটা বেড়েছে। তবে যেগুলোতে আমরা অর্ডার করেছি সেগুলোতে প্রভাব ফেলে নাই৷”
তিনি বলেন, “গ্যাস, এলএনজির দাম যদি বেড়ে যায় তাহলে আমরা বিবেচনায় নেবো। আজকে যে এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছি সেটা পুরানো দামেই কোড করেছে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে আমরা আগের দামেই পাবো।”
আপাতত বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “না না আপাতত বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না।”
বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “বিশেষ প্রস্তুতি বলতে আজকে আমরা যে এলএনজি, সার আনার প্রস্তাব অনুমোদন দিলাম সেটা পুরানো দামে। ভবিষ্যতে যখন নতুন কোনো কিছু আনবো তখন হয়তো কিছুটা ইফেক্ট পড়বে।”
সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে বিকল্প কিছু চিন্তা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “বিকল্প চিন্তা বলতে অবশ্যই জ্বালানি মন্ত্রণালয় করছে। যেহেতু আমরা এলএনজির ওপর নির্ভর করি বেশি। জ্বালানি শুধু না, সার, জাহাজ চলাচলেও প্রভাব পড়বে। হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ আসে সেখানে প্রভাব পড়তে পারে। আমার মনে হয় সংঘাত বেশি দিন চলবে না।”
ঢাকা/হাসনাত/ইভা