সিলেট সীমান্তের ওপারে ৯ ঘণ্টা ধরে গাছে ঝুলছে বাংলাদেশির লাশ
Published: 19th, June 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে বাংলাদেশি জাকারিয়া আহমদের (২৩) লাশ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লাশটি ঝুলে থাকলেও উদ্ধার করা যায়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিষয়টি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) জানালেও তারা সাড়া না দেওয়া লাশ উদ্ধার করা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। জাকারিয়া উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লামারগ্রাম কামাল বস্তির আলা উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পেশায় শ্রমিক জাকারিয়া সম্প্রতি বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন সীমান্তের ১২৫৭ নম্বর পিলারের পাশের একটি গাছের ডালের সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
এ বিষয়ে উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিলোয়ার হোসেন সমকালকে জানান, লাশ এখনও ঝুলে রয়েছে। এলাকার লোকজন নিয়ে আমরা অপেক্ষা করছি। বিএসএফ এখনও সাড়া দেয়নি। জাকারিয়া তিন দিন আগে বিয়ে করেছেন বলে জানান তিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ বলেন, জাকারিয়ার বাড়ির পাশেই ভারত অংশ। প্রাথমিকভাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বজনরা লাশ আনতে চেয়েছিলেন। তবে ভারতের অভ্যন্তরে হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
৪৮ বিজিবি অধিনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক সমকালকে জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় পুলিশ বিষয়টি দেখছে। তাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ