বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সরকারি হিসাবে চলতি বছর জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে, তাঁরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সেই হিসাবে জেলায় চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১।

সরকারি হিসাবের বাইরে যে ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে, তাঁরা সবাই বরগুনাতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এরপর ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ রয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্যগুলো জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জেলার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেই কেবল সরকারি তালিকায় তথ্য যুক্ত হয়। জেলার বাইরে কিংবা বাড়িতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে সেই তথ্য সরকারের খাতায় উঠছে না। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, বরগুনায় ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা সরকারি-বেসরকারি হিসাবের চেয়েও বেশি।

জেলার বাইরে ৫ জনের মৃত্যু, বাড়িতে ১

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৯ জুন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনার ৫ জন। তবে যেসব রোগী বিভাগের বাইরের হাসপাতালে মারা গেছেন, তা সরকারিভাবে নথিভুক্ত হয়নি।

সরকারি হিসাবের বাইরে অনুসন্ধান করে আরও ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। ২৯ এপ্রিল বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লার ছোট মেয়ে উপমা (১৫) রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডেঙ্গু পজিটিভ হয়। পরে তার অবস্থা গুরুতর হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৯ এপ্রিল মারা যায়।

আরও পড়ুনবরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাবেক এমপির মেয়ের মৃত্যু, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ০৭ জুন ২০২৫

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গু পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে, কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত কারও মৃত্যুর তথ্য নেই।

জায়গা না হওয়ায় বরগুনা জেনারেল হাসপতালের বারান্দায় চলছে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন র ম ত য সরক র অবস থ ইসল ম বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সাবেক অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা

এলইডি বিলবোর্ড স্থাপনকে কেন্দ্র করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ২৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় আসামি করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ বিলালসহ ছয়জনকে।

আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মামলার অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন চাকরিচ্যুত সাবেক উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, টিসিএল অপটোইলেকট্রনিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতার হামিদ খান, বেস্টওয়ানের মালিক মোসা. মমতাজ বেগম, বৈশাখী ট্রেডার্সের মালিক মো. গাফ্ফার ইলাহী ও জি-টেকের মালিক সুলতানা দিল আফরোজা।

দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশ করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমোদন ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন উপেক্ষা করে নির্বাচিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এতে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুয়েটের গবেষণা: ইজিবাইকে পূর্ণ যাত্রী বহন করলে যানজট কমবে
  • রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সাবেক অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা