Samakal:
2025-06-20@00:15:42 GMT

মায়ের স্মৃতি, বাবার হাসি

Published: 19th, June 2025 GMT

মায়ের স্মৃতি, বাবার হাসি

মা বিছানায় শুয়ে আছেন পশ্চিম দিকে শিয়র দিয়ে। তাঁর শীর্ণ-দীর্ঘ শরীর একটি নকশী কাঁথা দিয়ে জড়ানো। একটু আগেই বালতির জল দিয়ে বাবা তাঁর মাথা ধুইয়ে দিয়েছেন। অয়েলক্লথে ঢাকা বালিশের উপরে ছড়ানো মা’র কালো চুল থেকে টুপটাপ জল গড়িয়ে পড়ছে বালতিতে। অনেক দিন পর আজ মায়ের জ্বর একটু কমতির দিকে। থার্মোমিটার দিয়ে বাবা মা’র গায়ের উত্তাপ পরীক্ষা করলেন, তারপর নিজের হাতে রান্না করা শুকতো নিয়ে বসলেন তাঁর শিয়রে। মায়ের অসুখের সময় বাবা নিজেই রান্না করে আমাদের খাওয়াতেন। বাবা মাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছেন। মা খেতে চাচ্ছেন না। তাঁর মুখে রুচি নেই। একটা ছোট মলা মাছ চিবুতে-চিবুতে তিনি তাকালেন আমার দিকে। আমি টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে তোরঙ্গে তুলে রাখা একটা ছোট রবারের বল পেড়ে সবেমাত্র মাটিতে লাফিয়ে পড়েছি; নিঃশব্দে, বিড়ালের মতো মায়ের দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারি। আড় চোখে আমি মাকে দেখছিলাম, তখনই মায়ের চোখ পড়ে গেল আমার চোখে। রক্তশূন্য, রুগ্ন-পাণ্ডুর দু’টি চোখ। মা কথা বলতে পারেন না। চোখের ইঙ্গিতে তিনি আমার বাবার সাহায্য নিলেন। বাবা মায়ের চোখের ভাষা বুঝতেন। তিনি আমাকে ডাকলেন ।
‘এদিকে আয়, তোর মায়ের কাছে একটু বস।’
আমি দূর থেকে আড়-চোখে আমার অসুস্থ মাকে দেখছিলাম। বাবার ডাকে প্রথমে বাবার দিকে, পরে মায়ের দিকে তাকালাম। বাবা বুঝলেন, এই তাকানোর অর্থ হচ্ছে— চলে যাবার জন্য অনুমতি প্রার্থনা।
মা’র বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো ।
বাবা বললেন, ‘যা, তাড়াতাড়ি ফিরে আসবি। তোর মায়ের শরীরটা আজ ভালো নয়।’
মায়ের শরীরটা যে ভালো নয়, তা আমিও বুঝতে পারতাম; কিন্তু তাঁর শরীর যে এতটাই খারাপ– তা বুঝবার মতো বয়স তখনও আমার হয়নি। সবেমাত্র চার বছরে পা দিয়েছি। মাতৃপ্রীতির চেয়ে খেলাধুলার প্রতিই আমার আকর্ষণ বেশি । আমার ধারণা, খেলার সময় চলে যাবে, মা-তো আর চলে যাবে না; আগে একটু খেলে আসি, তারপর বেশি সময় নিয়ে মায়ের পাশে বসা যাবে। এই ভেবে, কিংবা এত কিছুই না ভেবে আমি দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই।
ওটাই ছিল আমার মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা ।
আমার মা সম্পর্কে আমার আর কোনো স্মৃতি নেই। শুধু ঐ দৃশ্যটাই আমার চোখে স্থির হয়ে আছে । অন্যরা যখন তাদের মায়ের স্মৃতিচারণ করে, আমি তখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত আমার মাকে কল্পনায় দেখতে পাই। আমার মাকে দাঁড়ানো অবস্থায় আমি কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না ।
দুপুরের দিকে মা মারা যান। সেদিন ছিল ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৯।

কলকাতা আর্ট স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনা করার সুবাদেই আমার মায়ের সঙ্গে বাবার বিয়ে সম্ভব হয়েছিল বিলে আমার ধারণা। তা না হলে আমার মাতুল পরিবার বাবাকে মায়ের যোগ্যপাত্র বিবেচনা করত বলে মনে হয় না।
বিয়ের পর অষ্টগ্রামের দত্তকুলোদ্ভব মায়ের সঙ্গে ডেমুরার দত্তকুলোদ্ভব ঠাকুরমার সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকে। মায়ের অবাধ্য হয়ে কলকাতায় পড়তে যাওয়া এবং সংসারের কাজে অবহেলা প্রদর্শনের জন্য বাবার সঙ্গে ঠাকুরমার সম্পর্কটা পূর্ব থেকেই খারাপ ছিল। আমার শহুরে মায়ের সঙ্গে ঠাকুরমা যখন শাশুড়ির গ্রাম্য দাপট খাটাতে গেলেন, তখন মায়ের সঙ্গেও তাঁর অঘোষিত স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হয়। ক্রমশ তা প্রকট রূপ ধারণ করে।
খুব ভোরে পুকুরে প্রাতঃস্নান করার রেওয়াজ আছে গ্রামে, বিশেষ করে সধবাদের। শীতের দিনেও তা থেকে রেহাই ছিল না। আমার মা ছোটবেলা থেকেই শহরে মানুষ হয়েছিলেন। গ্রাম্যজীবনের অভিজ্ঞতা তাঁর কমই ছিল । তিনি ঠাকুরমার নিয়ম না মেনে টিউবঅয়েলের তোলা জলে স্নান করতেন। বাবা ছিলেন কিছুটা স্ত্রৈণ প্রকৃতির। তিনি প্রকাশ্যেই টিউবঅয়েল থেকে মায়ের জন্য স্নানের জল তুলে দিতেন। ঠাকুরমা ব্যাপারটা লক্ষ্য করেন এবং এ নিয়ে বাবা-মাকে নানা কটু কথা শোনান। ঠাকুরমা মাকে বাড়ির পেছনের পুকুরে প্রাতঃস্নান করার নির্দেশ দেন ।
বাবার আর্টস্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়নি, এ নিয়ে বাবার মনে খুব দুঃখ ছিল; কিন্তু ছবি আঁকা তিনি একেবারে ছেড়ে দেননি। ছবি আঁকতেন গ্রামের বাড়িতে বসেই। বিয়ের পর মায়ের উৎসাহেই বাবা বেশকিছু ছবি আঁকেন। তাঁর আঁকা ছবির অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যায়। কিছু ছবি মা নিজের উদ্যোগে বাঁধিয়ে এনেছিলেন; কালের করালগ্রাস থেকে সেই ছবিগুলো রক্ষা পায়। 


আমার মায়ের মৃত্যুর পরও ঐ ছবিগুলো দীর্ঘদিন আমাদের গ্রামের বাড়িতেই ছিল। পরে আমার বড় ভাই ঐ ছবিগুলো ভারতে নিয়ে যান।
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জনৈকা রমণী স্নানশেষে ঘরে ফিরছেন— তার ভেজা গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকা ভেজা শাড়িটি তাঁর গাত্রবর্ণের স্নিগ্ধ শ্যামলতাকে প্রকাশ করছে। রমণীর নগ্নপদযুগলের ওপর শাড়ির লাল পাড়টা পড়ে আছে দেবীপায়ের যুগলপদ্মের মতো। তাঁর দীর্ঘ কালো কেশদাম একটা ডোরাকাটা গামছা দিয়ে জড়ানো। মুখ বাঁ-দিকে ঈষৎ ঘোরানো, মনে হয় অঙ্কনরত শিল্পীর দিকেই রমণীর দৃষ্টি নিবদ্ধ ।
একটিতে ছবির নায়িকা স্নানশেষে শুকনো শাড়ি পরেছেন। তাঁর পিঠের উপরের এলানো ভেজা চুল এই চিত্রে বন্দী হয়েছে খোঁপায় সলজ্জ প্রশান্তিতে ভরা তার স্নিগ্ধ মুখশ্রী। চোখের দৃষ্টি মাটির দিকে নোয়ানো। তার দীর্ঘ শীর্ণ দৈহিক গঠন এবং লম্বাটে মুখাকৃতি দেখে অনুমান করি, এই দুই ছবির মডেল ছিলেন আমার মা। শিল্পচর্চা অব্যাহত রাখতে পারলে বাবা একজন উঁচুমানের শিল্পী হতে পারতেন। এ ব্যাপারে আমার একটুও সন্দেহ নেই। 
মনে হয়, মাকে মডেল করে ছবি আঁকার ব্যাপারটিও আমার ঠাকুরমার চোখে পড়ে থাকবে এবং তিনি তা পছন্দ করেননি। এটাও ঠাকুরমার সঙ্গে আমার মায়ের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার একটা কারণ হতে পারে। অথচ আমি বাবার মুখেই শুনেছি, ঠাকুরমার বাবা হরিশ্চন্দ্র দত্ত মহাশয়ও চমৎকার ছবি আঁকতেন। সেদিক থেকে বলা যায়, পুত্রের মধ্যে পিতৃকৃতীর নিদর্শন লক্ষ্য করে বাবার শিল্পচর্চার প্রতি ঠাকুরমার দুর্বলতা থাকাটাই ছিল স্বাভাবিক, কিন্তু বাস্তবে তেমনটি হয়নি। কেন হয়নি তা এক রহস্যময় ব্যাপার ।
সংসার-জালে জড়িয়ে পড়ার ফলে ক্রমেই বাবা ছবি আঁকার উৎসাহ-উদ্যম হারিয়ে ফেলেছিলেন। মায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে বাবার শিল্পীজীবনের ইতি ঘটে। তিনি ছবি আঁকা একেবারে বন্ধ করে দেন। বাবা যে শিল্পী ছিলেন, তা জানার কোনো অবকাশই আমাদের হয়নি। আমাদের দাদামণি যখন আমাদের ঘরে অযত্নে লালিত ছবিগুলো ভারতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন ঐ ছবিগুলোর প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহের কারণ সন্ধান করতে গিয়েই আমি প্রথম জানতে পারি যে, ঐ ছবিগুলো বাবার আঁকা। আমি বাবার দিকে খুব কৌতূহলী চোখে তাকাই। ছবি এঁকে দেয়ার জন্য বাবার কাছে আমি বায়না ধরতে থাকি, কিন্তু বাবা কিছুতেই ছবি আঁকতে রাজি হন না, নানা ছুতোয় তিনি আমার আবদার এড়িয়ে চলেন। মনে হয় বাবা যেন মনে মনে প্রতিজ্ঞাই করেছিলেন, আর ছবি আঁকা নয় ।
আমার মা কি বাবাকে ছবি আঁকতে নিষেধ করে গিয়েছিলেন? কী জানি? একবার বাবা আমার আবদার এড়াতে পারেননি। আমাদের বাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করার রেওয়াজ ছিল। রবীন্দ্রস্নেহধন্য রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশেষজ্ঞ শ্রীশৈলজারঞ্জন মজুমদারের প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী জানতে পারি যে, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন সর্বপ্রথম পালিত হয়েছিল নেত্রকোনায় ।
শৈলজাবাবু আমাদের দূর-সম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন। তাঁর বাড়ি ছিল বারহাট্টার পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ থানায়। শৈলজাবাবু রসায়নবিজ্ঞানী হলেও কবিগুরুর নির্দেশে তখন শান্তিনিকেতনে সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। পূজার ছুটিতে বাড়ি এসে শৈলজাবাবু রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেন। ওটাই ছিল শান্তিনিকেতনের বাইরে রবীন্দ্রজয়ন্তীর শুরু। পরবর্তীকালে, পাকিস্তান হওয়ার পর রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি নজরুল ইসলামও যুক্ত হন। নজরুলজয়ন্তীও কি নেত্রকোনাতেই প্রথম পালিত হয়েছিল!
আমাদের বাড়ির সামনের কাছারিঘরের বারান্দায় স্টেজ তৈরি করি এবং স্টেজের পেছনের কালো পর্দার (মায়ের কালো শাড়ি) মাঝখানে বাবার আঁকা নজরুলের পেন্সিলস্কেচটা সেঁটে দিয়ে আমরা এগারই জ্যৈষ্ঠ পালন করি। বাবা হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইতে পারতেন। আমাদের উৎসাহ দেয়ার জন্যই ঐ অনুষ্ঠানে বাবা একটি নজরুলগীতিও পরিবেশন করেছিলেন। ওটাই ছিল আমার বাবার আঁকা শেষ ছবি। ঐ ছবি আঁকার পর বাবা আরও তিরিশ বছর বেঁচে ছিলেন, কিন্তু তাঁকে আর কোনো ছবি আমি অনেক চেষ্টা করেও আঁকাতে পারিনি। ছবি আঁকার কথা বললেই বাবা হাসতেন, সেই হাসি ছিল খুবই রহস্যময়। v
[আত্মজৈবনিক গ্রন্থ মহাজীবনের কাব্য থেকে নেওয়া]

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গল প আম র ম য র জন য আম দ র প রথম র একট নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা: চেরনোবিলের মতো বিপর্যয় হবে না

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ হলেও চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, এগুলো মূলত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এ ধরনের স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা চেরনোবিল বা ফুকুশিমার মতো ভয়াবহ ‘পারমাণবিক দুর্ঘটনা’ ঘটানোর ঝুঁকি তৈরি করে না। এর কারণ হলো সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে কোনো পারমাণবিক বিক্রিয়া (নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন) ঘটে না। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরে ইউরেনিয়ামের পরমাণু বিভাজিত হয়ে ফিশন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে এবং তাতে তৈরি হয় অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য।

অন্যদিকে, সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো শুধু ইউরেনিয়ামকে জ্বালানি হিসেবে প্রস্তুত করে, সেখানে শক্তি উৎপাদনের কোনো প্রক্রিয়া চলে না। 

ব্যাঙ্গোর বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক উপাদান বিশেষজ্ঞ সায়মন মিডলবার্গ  বলেন, যদি কোনো সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা মারা হয়, তাহলে ভেতরের ইউরেনিয়াম পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এতে কোনো পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা নেই। কাজেই এ ক্ষতি হবে স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ এবং একমাত্র আশপাশের একটি ছোট এলাকা ছাড়া কোনো বিস্তৃত তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি তৈরি হবে না।

রয়টার্স জানায়, ইরানের ভূগর্ভে নির্মিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানতে সক্ষম একমাত্র প্রচলিত অস্ত্র হচ্ছে মার্কিন ‘বাঙ্কার-ব্লাস্টার’ বোমা। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়লে সংঘাত পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আসলেই ইরানের সন্দেহভাজন পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনায় শক্তিশালী বাঙ্কার-ব্লাস্টার বোমা ফেলে, তাহলে এর পরিণতি কী হবে? 

বিকিরণ ঝুঁকি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বোমা মাটির নিচের বাঙ্কার ধ্বংস করে ফেললেও এর ব্যাপক বিকিরণ দূষণের আশঙ্কা কম।

ইরানের ‘ফোরডো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্লান্ট’ নামের এই রহস্যময় স্থাপনা পাহাড়ের গুহায় নির্মিত এবং এখানে ইউরেনিয়াম আইসোটোপ প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এতে এখানে ইউরেনিয়াম সাধারণত ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লুরাইড নামক গ্যাস আকারে থাকে।

এ গ্যাস অণু তুলনামূলক বড় ও ভারী হওয়ায় এটি অনেক দূরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম বলে জানান আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য পদার্থবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ এমিলি ক্যাফ্রি। তিনি আরও বলেন, হামলার ফলে বিকিরণ বা দূষণ ওই স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ