যে ১০ কারণ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কৌশল অকার্যকর করে দিয়েছে
Published: 20th, June 2025 GMT
ইসরায়েল বিনা উসকানিতে গত শুক্রবার ভোর রাতে ইরানে হামলা করে। এ হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানী, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং বেসামরিক লোকজন নিহত হন। এরপরেই পাল্টা আক্রমণ শুরু ইরান। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্স অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩-এর অংশ হিসেবে হামলা শুরু করে। গতকাল পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১৩ দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। খবর তাসনিম নিউজের
সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানের এ হামলাগুলোর বিশেষ ১০টি বৈশিষ্ট্য ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে একপ্রকার অকার্যকর করে দিয়েছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-
১.
২. ছলনামূলক অভিযান ও বাস্তব আক্রমণের সংমিশ্রণ ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করেছে।
৩. ইরান আক্রমণে বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং আত্মঘাতী ড্রোন।
৪. ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘থাড’ থেকে শুরু করে ‘আয়রন ডোম’ ও ডেভিড’স স্লিং পর্যন্ত সব আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ করেছে। এর ফলে ইসরায়েলিরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, যে কিছুই তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
৫. ইরান মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের এবং অপ্রত্যাশিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
৬. ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে থাকে, যা ইসরায়েলিদের অবাক করে দেয়।
৭. ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা কেবল একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ নয় এবং দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের উত্তরতম থেকে দক্ষিণতম বিন্দু পর্যন্ত সব অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করে।
৮. ইরানের কাছে লক্ষ্যবস্তুর একটি ডেটা ব্যাংক রয়েছে, যা সামরিক স্থাপনা, তেল শোধনাগার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে সক্ষম করে।
৯. ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বারবার ইহুদিবাদীদের সতর্ক করে দিয়েছে, অধিকৃত অঞ্চলের কোথাও আর নিরাপদ নেই।
১০. ইরান এখনও পর্যন্ত তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ কয়েকটি নতুন প্রজন্ম উন্মোচন করেনি। তাই, ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার ওপর ক্রমাগত বিস্ময় প্রকাশের কৌশল আপাতত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
১০ বছর পর ফিরেছে সিক্স
তরুণ রক মিউজিশিয়ানদের রিয়েলিটি শো ‘নেসক্যাফে গেট সেট রক’–এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে ‘সিক্স’। ২০১৩ সালের মার্চে প্রকাশ পায় ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম এইতো সময়। পাঁচ গানের অ্যালবামটি ব্যান্ড শ্রোতাদের মন জয় করে। ২০১৫ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শেষবারের মতো পারফর্ম করে সিক্স। সদস্যদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে বিরতিতে যায় তারা। অবশেষে ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে ফিরেছে সিক্স। চলতি মাসের শুরুতে মুক্তি পেয়েছে ব্যান্ডটির নতুন গান ‘এইতো সময় ২’। এটি তাদের প্রথম অ্যালবামের ‘এইতো সময়’ গানের সিকুয়েল।
পুরোনো ছবিতে সিক্স ব্যান্ডের সদস্যরা