জামিন পেলেন সাংবাদিক শেখ আরিফ
Published: 20th, June 2025 GMT
বন্দরে শ্রমিকদল কর্মী দুলালের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি সাংবাদিক, লেখক ও কবি শেখ আরিফের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে হাজির হন সাংবাদিক শেখ আরিফ। এ সময় শেখ আরিফের পক্ষে জামিন চান তার আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
জামিন শুনানিতে আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল আদালতকে বলেন, এই মামলায় এজাহারে সাংবাদিক শেখ আরিফকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মুলত সে একজন গনমাধ্যম কর্মী। এটা জামিন যোগ্য।
পরিশেষে আদালত মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলাটি শুনানী শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, গত ২০ মে আনুমানিক রাত ২ টার দিকে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজীকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে রানা নামে একজন আহত হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত রানার বড় ভাই শ্রমিকদল কর্মী দুলালকে বাদী করে বন্দর থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি ক্রিমিনাল মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং ২৬(৫)২৫ইং।
সেই মামলায় প্রতিহিংসার বশবতি হয়ে দলীয় প্রভাবশালী অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সাংবাদিক শেখ আরিফের নাম এজাহারে যুক্ত করে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়।
এ মামলায় ১৯ জুন সাংবাদিক শেখ আরিফ আদালতে হাজির হলে তাকে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট জামিন মঞ্জুর করেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব দ ক শ খ আর ফ
এছাড়াও পড়ুন:
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, এমডিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সিলেটের আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ চেক প্রতারণার অভিযোগে করা এক মামলায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার সিলেটের সাবেক ব্যুরো প্রধান আহমেদ নূর মামলাটি করেছিলেন। বাদীর আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় আজ শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বর্তমান সম্পাদক হাসান হাফিজ, চেক স্বাক্ষরকারী সাবেক সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজাম। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে কালের কণ্ঠকে।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলাটি করা হয়। আদালত সে দিন ৬ আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মামলার বাদী বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক পদমর্যাদায় সিলেট কার্যালয়ে ব্যুরো প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু সংবাদপত্র ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী দীর্ঘদিনের সার্ভিস বেনিফিট পরিশোধ করতে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করে। একপর্যায়ে বেনিফিটের টাকা পরিশোধে সম্মত হয়। কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়। এ ছাড়া প্রতি মাসে একটি চেক নগদায়নের তারিখ দিয়ে গত জানুয়ারি মাসে ১০টি চেক প্রদান করা হয। কিন্তু দুটি চেক অনার হলেও আটটি চেক ডিজঅনার হয়। যার অর্থের পরিমাণ ৬ লাখ ১ হাজার ৮২৪ টাকা।
বাদীর আইনজীবী বলেন, বাদী আইনজীবীর মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠালে আসামিরা এর জবাবে শিগগিরই টাকা পরিশোধের বিষয়টি তাঁদের আইনজীবীর মাধ্যমে জানান। কিন্তু তার পরও টাকা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত বছরের ৫ ডিসেম্বর একটি চেক এবং ৩১ ডিসেম্বর অপর সাতটি চেক ডিজঅনারের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেন বাদী। আজ বৃহস্পতিবার প্রথম মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।