ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চিফ অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিএ) সিরাজুম মুনিরা (৩৩) মারা গেছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভান্ডারিয়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিরাজুম মুনিরা চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের মোজাম্মেল কাজীর মেয়ে এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। তাঁদের ১০ বছরের একটি ছেলে ও ৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের নাজির বাবুল লাল ঘোষ জানান, তিনিও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। তিন দিন আগে মঙ্গলবার মুনিরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। পরে তাঁকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে প্লাটিলেট দ্রুত কমে যাওয়ায় অবস্থার অবনতি ঘটে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার সকালে বরিশাল মেডিকেলে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

বরগুনা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৮০ জন। এ পর্যন্ত ২৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পাথরঘাটায় মারা গেছে তিনজন।গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ৬২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। অন্যান্য হাসপাতালে আরও ৮ জন ভর্তি রয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন মো.

আবুল ফাত্তাহ জানান, হাসপাতালে রোগীর চাপ এত বেড়েছে যে, অনেকে মেঝে, করিডর ও সিঁড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পর্যাপ্ত ওষুধ ও শয্যার সংকট রয়েছে। মশার বিস্তার ও পৌরসভার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বরগুনা জেলার প্রত্যেকটি পৌরসভাসহ গ্রাম পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মশা নিধন ওষুধ জরুরিভাবে ছিটানো দরকার। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প থরঘ ট উপজ ল বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ