জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক সুস্মিতা পাইককে সভাপতি আর উপপরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদ খানকে মহাসচিব করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ কমিটি গঠন করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ সভায় নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে কমিশনের উপপরিচালক সুস্মিতা পাইক আর মহাসচিব হিসেবে উপপরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদ খানের নাম প্রস্তাব করা হলে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।

এ ছাড়া সহসভাপতি পদে ফারজানা নাজনীন, যুগ্ম মহাসচিব পদে মো.

মোজাফফর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ নাঈম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. তানবিরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক পদে ইশরাত জাহান, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদে জান্নাতুল ফেরদৌস এবং নির্বাহী সদস্য পদে মো. রবিউল ইসলাম ও মো. ইমরান হোসেনের নাম সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। নবগঠিত কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নবগঠিত কমিটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মেধা ও প্রতিভাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগানো, কাজের পরিবেশ সৃষ্টিতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে স্বার্থ সংরক্ষণ তথা সার্বিক কল্যাণ সাধনে নিয়মতান্ত্রিক উদ্যোগ গ্রহণে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ভবিষ্যতে অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে আরও কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক ভূমিকা পালনে কমিটির নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

২০২৩ সালের ১৮ জুন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সব কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এক সাধারণ সভার মধ্য দিয়ে এই অ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় গত ১৮ জুন প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।

তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।

দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান