সুহৃদ সাহিত্য আড্ডায় ভাটির প্রবেশদ্বার ধর্মপাশার বর্ণনা
Published: 3rd, July 2025 GMT
সুহৃদদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে সমকাল কার্যালয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় ‘সুহৃদ সাহিত্য আড্ডা’। ২৯ জুন বিকেলে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেল সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে স্বরচিত গান, ছড়া-কবিতা পাঠ ও মুক্ত আলোচনা উঠে আসে সাহিত্য ও সমসাময়িক বিষয়। আমরা ভাটির মানুষ স্বপ্নচাষা/হৃদয়জুড়ে নাম লিখেছি ধর্মপাশা/মনের ডানা মেলে দিয়ে উড়ে উড়ে/ইচ্ছে হলে যাই হারিয়ে দূর হাওরে– এমন পঙক্তি উচ্চারিত হয় সুহৃদদের কণ্ঠে।
নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার পর সুহৃদদের প্রথম সাহিত্য আড্ডা এটি। এখন থেকে ধর্মপাশা সুহৃদ সমাবেশ প্রতি শনিবার বিকেলে সাহিত্য আড্ডায় মিলিত হওয়া বিষয়ে সদস্যদের একমত পোষণ করবে। এমন আড্ডা ভাটির প্রবেশদ্বার ধর্মপাশাকে শিল্প-সাহিত্যচর্চায় আরও একধাপ নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আলোচনা পর্বে মত দেন সুহৃদরা।
ধর্মপাশা সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সামরুলের সভাপতিত্বে আড্ডা পরিচালনা করেন সাহিত্য সম্পাদক কাজী বর্ণাঢ্য। সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক তানজিদা আজাদ শম্পা, দপ্তর সম্পাদক নাবিল আহম্মদ, পাঠচক্র সম্পাদক শৈবাল সরকার উৎস, স্থানীয় লেখক আরিফ বাঙ্গালী, নাঈম হাসান প্রমুখ অংশগ্রহণ করে আড্ডাকে জমজমাট করে তুলেন। একের পর এক মুক্ত আলোচনা, গান-কবিতা আর মৃদু হাততালির বাতাসে চায়ের চুমুকে স্বপ্নের ডানা মেলেছিলেন সবাই। সংঘবদ্ধ হয়ে গান-কবিতা উচ্চারণের এ সুযোগ যেন ভাটির জলাভূমিতে স্বপ্নের বিস্ফোরণ ঘটানোর সমান। তাই সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডায় মুক্তমনা সব কবি-সাহিত্যদের আমন্ত্রণ।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়াবা লুটের অভিযোগ: বিএনপির তিন নেতার পদ স্থগিত
কক্সবাজারের রামুতে ইয়াবা লুটের ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও শ্রমিক দলের তিন নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুরুল কবির, রাজারকুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দানু মিয়া ও রাজারকুল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইলের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বাবু সমকালকে বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ব স্ব সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনজনের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সেলিম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রামু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। কারণ, সম্প্রতি ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক রোষানলের শিকার হয়ে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা দিন দিন আমাকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে। তাই আমি এ সিদ্ধান্ত নিলাম। সুখে থাক প্রাণের সংগঠন ছাত্রদল, ভালো থাকুক সুবিধাবাদীরা।’
তবে তিনি ইয়াবা লুটে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেন, স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
জানা যায়, কক্সবাজারের রামুতে ৩০ হাজার ইয়াবা লুটের একটি ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি একাধিক অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রদল নেতা সানাউল্লাহ সেলিমের নেতৃত্বে ইয়াবার চালানটি লুট করা হয়। লুট করা ইয়াবা বিক্রির ২৮ লাখ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির ২৩ নেতাকর্মী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালানটি আনা হচ্ছিল। এটির গন্তব্য ছিল রামু উপজেলা সদরের মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা মনিরের বাড়ি। তবে রাস্তায় রাজারকুল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জেগানা এলাকায় চালানটি লুট হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চালানটি প্রথমে স্থানীয় কাট্টাইল্যা পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩০ হাজার ইয়াবার বাজার মূল্য অনেক বেশি হলেও মাত্র ২৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে ২৩ জনের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়েছে। ভাগে ছাত্রদল আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সেলিম একাই ১০ লাখ এবং অন্যান্য দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ৮-১০ হাজার থেকে ২-৩ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের তিন নেতার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, ইয়াবার চালান লুটের ঘটনাটি শুনেছি, খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।