Risingbd:
2025-09-18@04:53:11 GMT

বাগদান সারলেন আনশুলা কাপুর

Published: 4th, July 2025 GMT

বাগদান সারলেন আনশুলা কাপুর

বাগদান সারলেন বনি কাপুরের কন্যা আনশুলা কাপুর। দীর্ঘদিনের প্রেমিক রোহান ঠাকরের সঙ্গে বাগদান সেরেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মধ্যরাতে ইনস্টাগ্রামে বাগদানের ছবি প্রকাশ করে এই ঘোষণা দেন অভিনেতা অর্জুন কাপুরের বোন আনশুলা। 

বাগদানের নানা মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন আনশুলা। তাতে দেখা যায়, আনশুলার পরনে ফ্লোলার প্রিন্টের সাদা গাউন। অন্যদিকে, রোহানের পরনে ব্রাউন রঙের ফুল স্লিভ শার্ট ও জিন্স। রোহান হাঁটু ভেঙে বসে আংটির বাক্স খুলে আনশুলার দিকে তাকিয়ে, আর তা দেখে আনশুলা ভীষণ উচ্ছ্বসিত। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছেন। তারপর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে চুমু খেতেও দেখা যায়। 

এসব ছবির ক্যাপশনে পরিচয় ও প্রেমের সূচনার বর্ণনা দিয়েছেন আনশুলা। শ্রীদেবীর সৎ কন্যা আনশুলা লেখেন, “ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আমাদের পরিচয়। সেদিন ছিল মঙ্গলবার, রাত ১টা ১৫ মিনিটে হঠাৎ কথা বলা শুরু করেছিলাম। সেদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কথা বলেছিলাম। সেদিন কিছু একটা শুরুর মতো মনে হয়েছিল, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৩ বছর পর আমার প্রিয় শহরে, সেন্ট্রাল পার্কের দুর্গের সামনে, রোহান আমাকে এইভাবে প্রস্তাব দেয়। তখন ভারতীয় সময় ছিল ঠিক ১টা ১৫ মিনিট! পৃথিবীটা যেন সেই মুহূর্তের জন্য থেমে গিয়েছিল, আসলে এই মুহূর্তটা জাদুর মতো।” 

আরো পড়ুন:

ফের আইটেম গানে নাচবেন কারিনা?

অজয় ও আমার মাথা খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়: কাজল

বাগদান সম্পন্ন করার কথা জানিয়ে আনশুলা লেখেন, “আমি কখনো রূপকথায় বিশ্বাসী ছিলাম না। কিন্তু রোহান সেদিন যা দিয়েছিল তা রূপকথার থেকেও ভালো। আমি ‘হ্যাঁ’ বলেছিলাম। কান্না, হাসি সবটা মিলিয়ে যে আনন্দ আমি পেয়েছিলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। কারণ ২০২২ সাল থেকে, সবসময় তুমিই ছিলে। আমি আমার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছি! আমার নিরাপদ জায়গা। প্রিয় পুরুষ, প্রিয় শহর এবং এখন, আমার প্রিয় ‘হ্যাঁ’।” 

আনশুলা সুখবরটি জানানোর পরপরই, তার সৎ বোন জাহ্নবী কাপুর, খুশি কাপুর বোনকে ভালোবাসা জানিয়েছেন। খুশি কাপুর লেখেন, “কাঁদছি।” জাহ্নবী কাপুর লেখেন, “আমার বোনের বাগদান হয়েছে।” অন্যদিকে খুশি কাপুর তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন— “আমি তোমাদের দু’জনকেই ভালোবাসি। আমার দিদির বিয়ে!” 

কেবল তাই নয়, আনশুলার বাবা প্রযোজক-অভিনেতা বনি কাপুরও মেয়েকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ঈশ্বর তোমাদের দুজনকেই আশীর্বাদ করুন। তোমরা দুজনে আমার বাড়িতে এসে, তোমাদের নিজ শহরে বাগদান উদযাপন করবে।” 

তাছাড়া অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং, কৃষ্ণা শ্রফ, পরিণীতি চোপড়া, অনন্যা পান্ডে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াসহ অসংখ্য তারকা আনশুলাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

মোনা সৌরি কাপুরের সঙ্গে প্রথম ঘর বেঁধেছিলেন শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। মোনা-বনি দম্পতির দুই সন্তান—অর্জুন কাপুর ও আনশুলা কাপুর। বাবা বা ভাইয়ের মতো এখনো রুপালি জগতে পা রাখেননি আনশুলা কাপুর। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সরব।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ নব ক প র চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ