ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। ১১ দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গেছেন। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন। দূর পরবাস থেকে মাহি জানালেন, কারো অপেক্ষায় রয়েছেন এই অভিনেত্রী।  
শুক্রবার (৪ জুলাই) মাহি তার ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, ওয়েস্টার্ন ড্রেসে একটি দুলনায় বসে আছেন তিনি। এসব ছবির ক্যাপশনে আত্মবিশ্বাসী মাহি লেখেন, “আমার বিশ্বাস, তোমার সাথে কোনো এক শুক্রবারে আসর থেকে মাগরিবের মধ্যে আমার দেখা হবে।”
মাহিকে এমন লুকে দেখে তার ভক্ত-অনুরাগীদের কেউ কেউ প্রশংসা করছেন। তবে মাহি কার ফেরার প্রতীক্ষায় অপেক্ষমান তা অবশ্য জানাননি এই অভিনেত্রী। ফলে রহস্য রয়েই গেছে।
আরো পড়ুন:
মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ২ বছর পিছিয়েছে: পেন্টাগন
মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন
গত ১৯ জুন হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান মাহি। পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মাহিয়া মাহি বলেছিলেন, “ভিসা পাওয়ার পর আর আসা হয়নি যুক্তরাষ্ট্রে। সময় বের করে আজ এলাম।” দেশ ছেড়ে চলে গেলেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, “আমার বাচ্চা দেশে আছে। নিউ ইয়র্ক ও আশপাশে ঘুরে দেশে ফিরে যাব।”
‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে পা রাখেন মাহিয়া মাহি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজের জায়গা করে নেন। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরেও রাজনীতিতে বেশ সরব ছিলেন মাহি। আওয়ামী লীগের হয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলের সমর্থন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি এই চিত্রনায়িকা। শেষমেশ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে হেরে যান তিনি।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন মাহি। ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রকিব সরকার নামে গাজীপুরের এক স্থানীয় রাজনীতিককে বিয়ে করেন মাহি। এ সংসারে জন্ম নেয় ছেলে ফারিশ। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসারও।
অনেক দিন ধরে চলচ্চিত্রে অনুপস্থিত মাহি। তাকে সর্বশেষ অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে ‘রাজকুমার’ সিনেমায়। তাতে শাকিব খানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র চলচ চ ত র য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক