দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৯
Published: 5th, July 2025 GMT
দিনাজপুরের কালিতলা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণ দেখতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন কালিতলা এলাকার মনসুর আলী ছেলে মাহবুব রহমান, তার স্ত্রী রুবিনা বেগম, ছেলে রাইয়ান রহমান, ফয়জুর রহমানের স্ত্রী হামিদা খাতুন, মনিরুল ইসলাম বুলুর স্ত্রী শিরিন, মনিরুল ইসলামের ছেলে স্বচ্ছ, মৃত কুমিরুদ্দিনের ছেলে শাহজাহান, মুক্তি ও গ্যাস সিলিন্ডার মিস্ত্রি রিয়াদ।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার পরিবর্তনের সময় সমস্যা দেখা দেয়। মেরামতের চেষ্টা করলে এক সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। এই ঘটনায় তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে দরজা খুলে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আরও পাঁচজন দগ্ধ হন। ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হলে সদস্যরা আগুন নিভিয়ে আহতদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ সময় সিলিন্ডার মিস্ত্রিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক রুমালী জানান, আনা রোগীদের ১০ থেকে ৩৫ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি নুরুজ্জামান জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। সামান্য দগ্ধ হয়েছেন আরও পাঁচজন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।