রামুতে একসঙ্গে নিখোঁজ চার কিশোর, মানব পাচারকারীদের সন্দেহ পরিবারের
Published: 6th, July 2025 GMT
কক্সবাজারের রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়ার স্কুল ও মাদ্রাসাপড়ুয়া চার কিশোর দুই দিন ধরে নিখোঁজ। কিশোরেরা পরস্পর আত্মীয়। গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে চার কিশোর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আজ রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি।
পরিবারের লোকজন প্রথমে ধারণা করেছিল দল বেঁধে হয়তো কিশোরেরা কোথাও বেড়াতে গেছে। শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে খোঁজখবর নেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, মানবপাচারকারী কিংবা অপহরণ চক্রের কবলে পড়েছে কিশোরেরা।
নিখোঁজ কিশোরের একজনের বয়স ১৪ বছর, দুজনের ১৫ ও একজনের বয়স ১৬ বছর। এ ঘটনায় চার কিশোরের পরিবার গতকাল শনিবার রামু থানায় পৃথক চারটি নিখোঁজ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করে। ডায়েরিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে মণ্ডলপাড়া থেকে চার কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হলেও কেন নিখোঁজ তার উল্লেখ নেই।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
নিখোঁজ এক কিশোরের মামা প্রথম আলোকে বলেন, তারা একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেছে বলে প্রথমে ধারণা করা হলেও দুই দিন ধরে নিখোঁজ থাকায় সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে গত দুই দিন খোঁজ নিয়ে হদিস পাওয়া যায়নি। চার কিশোর কারও প্রলোভনে পড়েছে কিংবা মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
পুরোনো ভবনের একটি ক্লাসরুম। দেয়ালের রং, পলেস্তারার অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই। এ শ্রেণিকক্ষে সারিবদ্ধভাবে সাজানো বেঞ্চ। এক সারির প্রথম বেঞ্চে বসে আছেন টিভি অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদের স্ত্রী শারমীন। অন্য সারির শেষের দিকের বেঞ্চে বসা ইরফান সাজ্জাদ। তার কোলে বসে আছে একটি শিশু।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইরফান সাজ্জাদ তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন এই দম্পতি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। কারণ এই ক্লাসরুমে স্ত্রী শারমীনের সঙ্গে তার প্রেমের সূচনা।
আরো পড়ুন:
পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’
ছবির ক্যাপশনে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “গল্পটা শুরু এই ক্লাস রুম থেকেই। সালটা ছিল ২০০৬। আমি ছিলাম ব্যাক বেঞ্চার, সে ছিল প্রথম সারির! ঠিক এই বেঞ্চগুলোতে আমরা বসতাম! সরকারি কমার্স কলেজ চট্টগ্রাম, অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের ক্লাস তখন মূল ভবনের তৃতীয় তলার ৩০৭ নাম্বার রুমে হতো।”
সময় রিক্রিয়েট করার কথা উল্লেখ করে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “আজকে অলমোস্ট ২০ বছর পর সময়টা রিক্রিয়েট করলাম; যদিও আমার কোলে আরো একজন ব্যাক বেঞ্চার আছে! ক্লাস রুমটা একই আছে, ক্লাসরুম একই থাকে শুধু চরিত্রগুলো বদলায়।”
ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। ফারজানা ববি নামে একজন লেখেন, “আহ! সেই দিনগুলোতে নতুন করে ফিরে গেলাম যেন তোমার স্ট্যাটাস পড়ে। তোমাদের তিনজনের গল্পে আমরাও আছি কিন্তু। শারমীনসহ আবার এলে সবাইকে ডাক দিও একদিন। শিঙাড়ারার আড্ডা খুব মিস করি।”
আরেকজন লেখেন, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসাথে থাকুন, এটাই চাই ভাইয়া।” অপর্ণা বড়ুয়া লেখেন, “আমিও এ কলেজ থেকে এমবিএ শেষ করেছিলাম। আপনার অভিনয় খুব ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত