পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা একটি আবাসিক ভবন ধসে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ভবনটি ধসে পড়ে।

পাকিস্তানের সরকারি উদ্ধার পরিষেবার মুখপাত্র হাসান খান বলেন, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংসস্তূপের বেশির ভাগই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলের মধ্যে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভবনটি আগেই ঝূঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরে যেতে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে বাড়ির মালিক ও কয়েকজন বাসিন্দা এএফপির কাছে দাবি করেন, তাঁরা এ ধরনের কোনো নোটিশ পাননি।

আরও পড়ুনপাকিস্তানে তিনতলা ভবন ধসে নিহত ৩১৮ জুলাই ২০১৭

করাচির দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা লিয়ারিতে ভবনটি ধসে পড়ে। আশপাশের বাসিন্দারা ধসে পড়ার বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে নিহত ১৪

পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচির লিয়ারি এলাকার বাগদাদি মহল্লায় একটি পুরোনো পাঁচতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

শনিবার (৫ ‍জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, করাচির লিয়ারি এলাকায় স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ: বিচার-পুনর্বাসন আর কবে?

বরগুনায় সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

পাকিস্তানের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন তারা এবং এ পর্যন্ত ভবনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৪ জনের মরদেহ তারা উদ্ধার করতে পেরেছেন। ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন চাপা পড়ে থাকায় সামনে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।

ঘটনাস্থল এবং উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন করাচি’র মেয়র মুর্তাজা ওয়াহাব। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ধসে পড়া ভবনটি ১৯৭৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং কয়েক বছর আগে ভবনটিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে ঘোষণা করেছিল নগর প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা তাদের ক্লান্তি নিয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্ট ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্ধার পরিষেবার নেতৃত্বদানকারী আবিদ জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হতে আরো আট থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

দক্ষিণ করাচির জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ আজিজ জানিয়েছেন, ভবনটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ বসবাস করছিলেন।

লায়ারিতে ভবন ধসের ঘটনায় ইতোমধ্যে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার আয়াজ সাদিক। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সিন্ধ প্রাদেশিক সরকারকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

ভবন ধসের ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিন্ধ প্রাদেশিক সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সাঈদ গনি। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেবায় দুর্ভোগ, ৬ মাসেও হস্তান্তর হয়নি নতুন ভবন
  • করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে নিহত ১৪