মুকুলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি মানববন্ধন
Published: 6th, July 2025 GMT
বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বন্দরজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আতাউর রহমান মুকুল একজন জনপ্রিয় ও মানবিক নেতা। তিনি শুধু দুইবার চেয়ারম্যানই ছিলেন না, ছিলেন এই এলাকার মানুষের আস্থার প্রতীক। তাঁর সৎ নেতৃত্বে বন্দরবাসী যেমন উন্নয়ন পেয়েছে, তেমনি বিপদে-আপদে তার সহানুভূতি ও সহায়তা পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন চরম দমন-পীড়নের শিকার, তখন মুকুল ভাই নেতাকর্মীদের সাহস ও ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়ান। ফ্যাসিস্ট আমলের মতই তাদের প্রেতাত্মাই তাঁর ওপর হামলা করে। এটা কোনো একক ব্যক্তির ওপর নয়—এটি গণতন্ত্র,ও মানবাধিকারের ওপর বর্বর আঘাত।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রাসেল মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল ইসলাম মজনু, মহানগর বিএনপি নেতা এড.
বক্তারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলার মূলহোতা ডন বজলুসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি করেন এবং প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, ২০ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি জাব্বার পাঠান, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জুবায়ের চৌধুরী, স্বপন, জাকির, ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খোকন, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হানিফ, রনি, মোস্তাক, মালেক মেম্বার, আসলাম, আলী আকবর, ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খসরু, রাজিব, মাসুদ, মোক্তার হোসেন,২১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মাসুদ রানা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাফিউদ্দিন শাফি, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাহাউদ্দীন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর, মিজানুর রহমান প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সন ত র স ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ব এনপ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনসহ ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সহ ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে। এসব দলের জন্য আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণেও ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির জোট ছিল। ফলে ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেয় বিএনপি। ফলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাশেমী এই আসনে নির্বাচন করে। ২০২৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরমধ্যে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলমান। ধারনা করো হচ্ছে জোটের জন্য বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শূন্য রেখেছে। ফলে আলোচনায় রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী এবং এনসিপির এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এনসিপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার ইচ্ছাপোষন করলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন মনির হোসেন কাসেমী অথবা আবদুল্লাহ আল আলামিন। এমনটাই মনে করছেন বিএনপির একাধিক সূত্র।