কুড়িগ্রামে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
Published: 10th, July 2025 GMT
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাসদস্যের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মোতালেব হোসেন উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও বাইটকামারী বাজারে সিটি ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।
লিখিত অভিযোগে মোতালেব হোসেন দাবি করেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দবেড় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিবুর রহমান, উপজেলা তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাছেদ ও বন্দবেড় ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে একদল লোক তাঁর দোকানে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে গালাগাল করার পাশাপাশি মারধর করা হয়।
মোতালেব হোসেন বলেন, তাঁর চিৎকারে স্থানীয় জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক পল্লিচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ আছে বলে তিনি দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা আলতাফ হোসেনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মনিবুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাইটকামারী হাটঘাট আমার নামে ইজারা নেওয়া। মোতালেব ও তার ভাই ট্রলার দিয়ে বালুর ব্যবসা করে। ঘাটের টোল আদায়ের টাকা চাইতে গেলে উল্টো সে আমাদের গালাগাল করেছে।’
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিকাশ চন্দ্র রায় অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার তদন্তে এসআই মোসাদ্দেক হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তালিকায় আছেন সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তা
‘জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন ভবনে বরাদ্দকৃত সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ১২টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৭৪তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এসব ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকার ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরস্থ বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহায়ন ধানমন্ডি) (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নম্বর-১৩ (নতুন-৬/এ) এর বাড়ি নম্বর-৭১১ (নতুন-৬৩) এর ওপর নির্মাণাধীন ভবনে বরাদ্দকৃত সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ১২টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
যাদের ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন-সাবেক অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪৩০৮.৬৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ড. এম আসলাম আলম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট)।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ