বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, পুশ ইন কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। এটা ঠেকানো হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) বিজিবির নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই কথা বলেন।

বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তে প্রতিনিয়ত পুশ ইন হচ্ছে। মাঝেমধ্যে হয়তো দু-একটা দিন বন্ধ থাকছে। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো বন্ধ হয়নি। এ বিষয়ে বিএসএফকে জানানোর পাশাপাশি আমাদের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও জানানো হয়েছে। শুরু থেকে আমরা এর কড়া প্রতিবাদ করে আসছি।’

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘বিজিবিতে জনবলসংকট রয়েছে। নানা প্রতিকূল অবস্থায় বিজিবির সদস্যরা সীমান্তে দায়িত্ব পালন করেন। সীমান্ত এলাকা ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। আমরা ইতিমধ্যে ব্যাটালিয়ন ও বিওপি বাড়িয়েছি। বিজিবিতে আরও ৫ হাজার সদস্য নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের জন্য সরকার যে দায়িত্ব দেবে, বিজিবি তা পালন করবে।

নবীন সৈনিকদের প্রসঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, নবীন সৈনিকেরা কখনো দেশবাসীকে নিরাশ করবেন না। তাঁদের দেওয়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই দেশের মানুষের নির্বিঘ্ন ঘুম নিশ্চিত করবে। এই নবীন সৈনিকেরাই হবেন সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক। দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় তাঁরা জীবন দেবেন, তবুও দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবেন না।

বিজিবি মহাপরিচালক ১০৩ তম রিক্রুট ব্যাচের সেরা চৌকস রিক্রুট হিসেবে প্রথম স্থান অধিকারী সাইফ মিয়া এবং অন্যান্য বিষয়ে সেরা সৈনিকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নব ন স ন ক

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রেপ্তারকৃতদের তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহায়তা করবে বাংলাদেশ

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৫ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ তদন্তে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ। শুক্রবার কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন হাজি হাসানের সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ আশ্বাস দেন।

শুক্রবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তাঁরা এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তথ্য ও তদন্তের ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে অভিযোগের অভ্যন্তরীণ তদন্তে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চান। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দেন।

এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়ই বাংলাদেশে চলমান সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, এলডিসি-পরবর্তী সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের উপমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধান পার্ক ইউনজুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশ ২০০৬ সালে এআরএফের সদস্য হয়। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ফোরামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ