২৪-এর আকাঙ্ক্ষা এখনো পূরণ হয়নি: সারজিস
Published: 12th, July 2025 GMT
‘‘২৪-এর অভ্যুত্থানে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা রাজপথে নেমেছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষা এখনো পূরণ হয়নি। তাই রাজপথ ছাড়ার সময় এখনো আসেনি’’— এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির ১২তম দিনে আয়োজিত পথসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, “চাঁদাবাজদের উৎপাত এখনো কমে নাই, খুন-খারাপি শুরু হয়েছে। পাথর দিয়ে থেতলে মারার মতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’ ফিরে এসেছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়েছে। আমরা আপনাদের স্পষ্ট করে বলছি, আমাদের লড়াই এখনো চলমান এবং এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”
আরো পড়ুন:
বিবৃতি দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবেন না, ভয় পাই না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
রাজনৈতিক দলগুলো চুপ্পুকে সরাতে ভয় পেয়েছে: নাহিদ ইসলাম
পথসভায় এনসিপির সদস্য সচিব শেখ আখতার হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ থেকে হাসিনা পালিয়ে গেছেন, কিন্তু তার গড়ে তোলা সিস্টেম এখনো টিকে আছে। ঢাকায় একজনকে চাঁদার জন্য পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রামপালেও চলছে ঘের দখলের রাজনীতি। কোথাকার কোন পালিয়ে থাকা নেতারা এসে এখানকার সম্পদ কুক্ষিগত করতে চায়।”
তিনি আরো বলেন, “যারা ঘের দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও কমিশনভিত্তিক রাজনীতি করতে চায়, তাদেরও জনগণ বিদায় জানাবে। যেমনটি হাসিনাকে বিদায় জানিয়েছে। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে সাধারণ মানুষকে জলবায়ু সংকটে ফেলে দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে মোংলা বন্দরকেও জড়িয়ে ফেলা হয়েছে।”
সংষ্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একটি দল মনে করে, শুধু নির্বাচন হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হাসিনাও তাই মনে করতেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি সংস্কার না হয়, পুলিশ যদি নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র আসবে না। আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন।”
এ দিন রামপালের কর্মসূচি শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাগেরহাটে হযরত খানজাহান আলী (রহ.
ঢাকা/শহিদুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
চার্লি কার্ককে মরণোত্তর পদক দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ডানপন্থী রাজনৈতিককর্মী চার্লি কার্ককে মরণোত্তর প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার কার্কের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই বেসামরিক সম্মাননা গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী এরিকা কার্ক। এ সময় তাঁর চোখে ছিল অশ্রু।
পদক দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি একজন সাহসী যোদ্ধাকে সম্মান জানাতে এবং স্মরণ করতে। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এমনভাবে উদ্দীপনা জাগিয়েছেন, যা আমি আগে কখনো দেখিনি।’
কার্ক জীবিত থাকলে মঙ্গলবারই হতো তাঁর ৩২তম জন্মদিন। ট্রাম্পের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন কার্ক। গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল তরুণদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কার্ক।
গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। টাইলার রবিনসন নামের ২২ বছর বয়সী এক তরুণকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।