বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‍“আগামী বছরের প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।”

বুধবার (২৩ জুলাই) সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরে আয়োজিত জনশক্তি ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. শফিকুর রহমান বলেন, “নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও পেশিশক্তি মুক্ত। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে এই নির্বাচনও ব্যর্থ হবে।” প্রবাসীরা যাতে বিদেশে বসেই ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

জুলাইয়ের সেই রিকশাওয়ালার হাতে ‘দাঁড়িপাল্লা’, সমালোচনার ঝড়

মাইলস্টোনে শতাধিক প্রাণহানির শঙ্কা জামায়াত আমিরের

জামায়াতের আমির বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে চারিত্রিক সম্পদের অভাবে এ দেশ গঠন হয়নি। যারা ক্ষমতায় আসেন, তারা জনগণের স্বার্থের বদলে নিজেদের স্বার্থকেই বড় করে দেখেন। তারা দুদককে ভয় পেলেও আল্লাহকে ভয় করেন না। যদি আল্লাহকে ভয় করতেন, তবে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত।”

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “যে বিপুল অর্থ পাচার হয়েছে, তা দেশে থাকলে আর কোনো অর্থনৈতিক সংকট থাকত না।”

‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বিপ্লব’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই বিপ্লব কারো একক কৃতিত্ব নয়। এর কোনো নির্দিষ্ট মাস্টারমাইন্ড নেই। সবাই মিলে এই বিপ্লব ঘটিয়েছেন। সবাই মিলে তাই গড়ে তুলতে হবে সুখি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।”

বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর জামায়াত এই সমাবেশের আয়োজন করে। উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি কাজী আবুল কাশেম, পৌর আমির কাজী জমির হোসাইনসহ দলটির নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র আম র

এছাড়াও পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

আরো পড়ুন:

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়

এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।

তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।

এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।

আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।

এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ