‘ভিউয়ের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমরা যদি একটু থামতাম, একটু ভাবতাম’
Published: 24th, July 2025 GMT
গ্রেপ্তার-কারাভোগ এবং মুক্তি—সবকিছু মিলিয়েই গত কয়েক মাস ধরে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ব্যক্তিগত নানা মুহূর্ত, নানা অনুভূতি ছাড়াও সমকালীন বিষয়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে থাকেন এই অভিনেত্রী।
বুধবার (২৪ জুলাই) নুসরাত ফারিয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যাতে গভীর উপলদ্ধি ফুটে উঠেছে। নুসরাত ফারিয়া বলেন, “ডিপ্রেশন আর ট্রমা কল্পনার কিছু না—এগুলো বাস্তব, নিঃশব্দ। কিন্তু ভিতর থেকে ধ্বংস করে দেয়। অনেক সময় এগুলো শুরু হয় ছোটবেলায়, আর একটা মাত্র ঘটনা বদলে দিতে পারে গোটা জীবন।”
বর্তমান সময়ে একজন মানুষ অন্যজনের ব্যাপারে ‘বিচারপ্রবণ’ হয়ে উঠেছে। তা স্মরণ করে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “আজকের দিনে যখন একটা ভুল, একটা মুহূর্ত, পুরো সমাজের সামনে ছড়িয়ে পড়ে—তখন প্রতিটি মানুষ হয়ে ওঠে বিচারক, তখন একজনের পক্ষে নিজের জীবনটা আগের মতো করে বাঁচা আর সম্ভব হয় না।”
আরো পড়ুন:
সময়ই সব বলে দেয়: নুসরাত ফারিয়া
ধর্ষণের প্রতিবাদে সরব তারকারা
অনলাইন ট্রায়ালের প্রসঙ্গ টেনে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “এই অনলাইন ট্রায়াল, এই নির্মমতা—এটা শুধু একজনকে নয়, তার পুরো পরিবারকে গভীর ট্রমার মধ্যে ফেলে দেয়। ভিউয়ের পেছনে ছুটতে ছুটতে যদি আমরা একটু থামতাম, একটু ভাবতাম।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ