চীনে খনিতে পড়ে ৬ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
Published: 24th, July 2025 GMT
উত্তর চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ায় ঝংজিন গোল্ড কর্পোরেশনের মালিকানাধীন একটি খনি পরিদর্শনের সময় দুর্ঘটনায় চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চায়না ন্যাশনাল গোল্ড গ্রুপ কোং-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঝংজিন গোল্ড বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) স্টক এক্সচেঞ্জে একটি ফাইলিংয়ে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামূলক গ্রেট ভেঙে পড়ার পর শেনিয়াংয়ের নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তামার মলিবডেনাম খনির একটি ফ্লোটেশন ট্যাঙ্কে পড়ে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় একজন শিক্ষকও আহত হয়েছেন।
কোম্পানিটি আরো জানিয়েছে, তারা পরিকল্পনা সক্রিয় করেছে এবং স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে ঘটনাটি জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে ভারত-চীন-ব্রাজিলকে হুঁশিয়ারি ন্যাটোর
ডিআরইউ ও বাংলাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের সমঝোতা
এই খবরের পর সাংহাইতে সকালের লেনদেনে ঝংজিন গোল্ডের শেয়ারের দাম ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।
টুয়েন্টিফাস্ট সেঞ্চুরি বিজনেস হেরাল্ড জানিয়েছে, খনিটি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
হেনান রেডিও ও টেলিভিশনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অনুসারে, নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের পরিদর্শন হয়ে আসছে এবং ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত।
তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ঘটনাস্থলে কর্মী পাঠিয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ