শুটিং কার্যক্রম বন্ধের জন্য রাজধানীর তিনটি হাউজ মালিককে চিঠি দিয়েছে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের আবাসিক কল্যাণ সমিতি। শুটিং হাউজ বন্ধের চিঠির খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন নাট্য নির্মাতা, অভিনেতা থেকে বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। 

ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেতা শামীম হাসান সরকার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্যাটায়ার ঘরানার এই লেখায় শামীম হাসান সরকার বলেন, “বাংলাদেশের নাটকের শুটিং দেশের মাটির কোথাও করতে দেওয়া উচিত না। সব শুটিং হউক আমেরিকার লাস ভেগাসে!” 

নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা শামীম হাসান সরকারের পোস্টে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আবাসিক কল্যাণ সমিতির এমন চিঠির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকে স্যাটায়ার বয়ানের সঙ্গে তারাও স্যাটার করেছেন।  

আরো পড়ুন:

ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়াল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার তোপ

উত্তরায় শুটিং হাউজ বন্ধের নোটিশ, নির্মাতা-শিল্পীদের প্রতিবাদ

গত ২০ জুলাই, উত্তরার সেক্টর-৪ কল্যাণ সমিতি এই চিঠি ইস্যু করে। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, শুটিংয়ের কারণে রাস্তায় জনসমাগম, যান চলাচলে বিঘ্ন এবং বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে।  

চিঠিতে হাউজ মালিকদের শুটিং হাউজ হিসেবে বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, আবাসিক এলাকায় এ ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নীতিমালার পরিপন্থী। সেক্টরের পরিবেশ ও সুনাম রক্ষায় হাউজের মালিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করা হয়েছে। 

এরই মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন—“এভাবে হঠাৎ করে একটি চিঠির মাধ্যমে শুটিং বন্ধ করার নির্দেশনা কোনোভাবেই উচিত নয়।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক শ ম ম হ স ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে আল হাবিব নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আল হাবিব একই ইউনিয়নের শিলাইকুঠি এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে। 

আশরাফুল ইসলাম ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় এখন ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না তিনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি আল হাবিব। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজা-খুঁজির পর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করে। 

পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি ভাঙা টয়লেটের ছড়ানো ইটের ওপর পড়ে ছিল। গলায় নিজের পরনের শার্ট পেঁচানো ছিল। মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্নও আছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর তাকে এখানে ফেলে গেছে ঘাতকরা। তবে কারা এবং কেন হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পরিত্যক্ত ভবনে বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ও গ্রাম পুলিশ আমাদেরকে খবর দেয়। তারপর আমরা পুলিশকে খবর দিই। 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে৷ 

ঢাকা/নাঈম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ