আগামী ২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ছোঁয়া মিলনমেলা ‘সাস্টিয়ান রি-ইউনিয়ন ২০২৫’।

আল্পস পর্বতের কোলে, ইউরোপের নীলাভ আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা এক রূপকথার শহর মিউনিখ। বায়ার্ন মিউনিখের কিংবদন্তী স্টেডিয়াম, ঝকঝকে সব ট্যুরিস্ট স্পট আর ইতিহাসের গন্ধমাখা রাজপ্রাসাদগুলো প্রতিনিয়ত হাজারো পর্যটককে মোহিত করে।

আগামী ২ আগস্ট সেখানেই এবার এক বিশেষ মুগ্ধতার জন্ম দিতে চলেছে সাস্টিয়ান রি-ইউনিয়ন ২০২৫। 

এই আয়োজন শুধু একটি পুনর্মিলনী নয়, এ যেন পুরনো স্মৃতির তর্পনে, হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে। জার্মানিতে প্রাক্তন সাস্টিয়ানদের প্রাণের সংগঠন সাস্টিয়ান-ডিই চতুর্থবারের মতো করছে এই আয়োজন।

বিদেশের মাটিতে সাস্টিয়ানরা কখনো একা থাকে না। নতুন শহরে কারও বাসা খোঁজার দরকার হলে, কোথাও চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য সাহস দরকার হলে কিংবা বিদেশ-বিভুঁইয়ে এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় মন খারাপ হলে, একজন সাস্টিয়ান পাশে এসে দাঁড়ান আরেকজনের। এই বন্ধনই হয়তো তাঁদেরকে টিকিয়ে রাখে প্রবাসের জীবন সংগ্রামে।

এখানে অনেকেই মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি করতে এসে সামলাচ্ছেন ভাষা আর পড়ালেখার ভীষণ চ্যালেঞ্জ। কেউ পড়াশুনা শেষ করে এখন কাজ করছেন জার্মানির নামজাদা কোম্পানিগুলোতে, কেউ বা গবেষণায় ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের নাম।

আবার অনেকে সাহস করে হয়েছেন উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। এই সাস্টিয়ানরাই আজ তুষার শুভ্র জার্মানিতে সাস্টের পতাকা তুলে ধরছেন গর্বে ও ভালোবাসায়।

এই মিলনমেলায় আসবেন অনেকে পরিবারসহ। কেউ নিয়ে আসবেন সঙ্গিনীকে, কেউ বা কোলে করে ছোট্ট সোনামনিকে। তাদের জন্য থাকবে গল্প, ‘সাস্টের এক কিলো’, ‘কবির মামার টং’, কিংবা ‘শহীদ মিনার’।

সেসব শুনে হয়তো অবাক চোখে তাকিয়ে থাকবে শিশুটি, বুঝবে না পুরোটা, কিন্তু তার মায়ের কিংবা বাবার চোখে হয়তো চকচক করবে পুরোনো দিনের আলো, সেই স্মৃতিময় সিলেটের ক্যাম্পাস লাইফ।

এই আয়োজনের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা মো.

মাহাদী হাসান বলেন, এই রিইউনিয়ন শুধু একটা  ইভেন্ট না, এটা একটা আবেগ। আমরা এখানে শুধু দেখা করতে আসি না, আমরা নিজেদের শিকড় খুঁজি, নিজেদের ফিরে পাই। এ যেন প্রবাসে সাস্টের এক কিলো রোড।

সারাদিনব্যাপী এই আয়োজনে থাকবে সঙ্গীত, স্মৃতিচারণ, শিশুদের জন্য খেলার আয়োজন, দেশীয় খাবারের স্বাদ আর ক্যাম্পাস জীবনের গল্পে ভরপুর এক আড্ডার আসর।

এই আগস্টে, মিউনিখ হয়ে উঠবে যেন প্রবাসে একটুখানি সাস্ট। ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ, গানের সুর, আড্ডার হাসি আর একরাশ ভালোবাসা নিয়ে ‘সাস্টিয়ান রি-ইউনিয়ন ২০২৫’ অপেক্ষা করছে জার্মানিতে থাকা সমস্ত সাস্টিয়ানদের জন্য।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইউন য ন ম উন খ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন কত টাকা পাবে, সপ্তম হওয়া বাংলাদেশ পেয়েছে কত

৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে আজ। নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ট্রফির জন্য লড়বে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের জন্যই প্রথমবার শিরোপা জয়ের সুযোগ এটি। তবে ট্রফির পাশাপাশি অর্থের হাতছানিও কম নয়।

বিশ্বকাপ জিতলে ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হওয়া দলের প্রাপ্তি চ্যাম্পিয়নের ঠিক অর্ধেক—২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। দুই ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে কারা কত পায়, সেটি জানতে তাই ফাইনালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাকি ৬ দলের কারা কত পাচ্ছে, সেই হিসাব এরই মধ্যে সম্পন্ন।

এবারের নারী বিশ্বকাপে মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার রেখেছে আইসিসি, যা ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসরে ছিল মাত্র ৩৫ লাখ ডলার। এমনকি ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ছেলেদের বিশ্বকাপেও মোট প্রাইজমানি ছিল কম—১ কোটি ডলার।

রেকর্ড অর্থ পুরস্কারের কারণে প্রতিটি দলের প্রাপ্তিও বেড়েছে। পুরস্কারগুলো মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে অংশগ্রহণ, টুর্নামেন্টে অবস্থান এবং জয়সংখ্যা। এর মধ্যে প্রথমটি সবার জন্যই সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশ যা পাবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলও তা-ই পাবে। এই খাত থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে আড়াই লাখ ডলার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কেমন খেলল বাংলাদেশের মেয়েরা২৭ অক্টোবর ২০২৫

টুর্নামেন্টে অবস্থানের ভিত্তিতে যে অর্থ, সেখানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের অর্থের পরিমাণ তো আগেই বলা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী অন্য ৬ দলের মধ্যে দুই সেমিফাইনালিস্ট ১১.২০ লাখ ডলার করে, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে দুই দল ৭ লাখ ডলার করে আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দুই দল ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে পাচ্ছে। বাংলাদেশ লিগ পর্বের খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হয়েছে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২.৮০ লাখ ডলার।

তৃতীয় খাত জয়ের সংখ্যায়। বাংলাদেশ দল ৭ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে একটিতে—পাকিস্তানের বিপক্ষে। এখান থেকে জয় বাবদ ৩৪ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

সব মিলিয়ে এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ বাবদ আড়াই লাখ, সপ্তম হিসেবে ২.৮০ লাখ এবং এক জয় বাবদ ৩৪৩১৪ ডলার মিলিয়ে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার পাচ্ছে, যা বর্তমান মুদ্রাবাজার অনুসারে (১ ডলার‍= ১২২.৩২ টাকা ধরে) বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

আরও পড়ুননারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়ল চার গুণ, কোন দল কত টাকা পাবে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন দিনে সত্যই সাহস
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৪ নভেম্বর ২০২৫)
  • সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজন করতে না দেওয়ার দাবি
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন শুরু ৭ নভেম্বর
  • স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩০ পদে নিয়োগ, চাকরি পেতে করুন আবেদন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩ নভেম্বর ২০২৫)
  • বার্জার পেইন্টসের অর্ধবার্ষিকে মুনাফা কমেছে ৩.৫৩ শতাংশ
  • অনুমতি ছাড়াই গাসিক কর্মকর্তা কিবরিয়ার বিদেশ যাত্রা
  • কোহিনুর কেমিক্যালের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ৩৩.৫৫ শতাংশ
  • নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন কত টাকা পাবে, সপ্তম হওয়া বাংলাদেশ পেয়েছে কত