রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে জনবল নিয়োগে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ১৬–২০তম গ্রেডের ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ২৬টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।

পদের নাম, সংখ্যাসহ বিবরণ

১. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ৪

গ্রেড: ১৬

বেতন স্কেল: ৯,৩০০–২২,৪৯০ টাকা

২.

পাম্পচালক

পদসংখ্যা: ২

গ্রেড: ১৭

বেতন স্কেল: ৯,০০০–২১,৮০০ টাকা

আরও পড়ুনবিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি, সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে নেবে ১১৮ জন২৫ জুলাই ২০২৫

৩. মেকানিক

পদসংখ্যা: ১০

গ্রেড: ১৭

বেতন স্কেল: ৯,০০০–২১,৮০০ টাকা

৪. অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ৭

গ্রেড: ২০

বেতন স্কেল: ৮,২৫০–২০,০১০ টাকা

৫. সহকারী পাম্পচালক

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ২০

বেতন স্কেল: ৮,২৫০–২০,০১০ টাকা

৬. লাইনম্যান

পদসংখ্যা: ২

গ্রেড: ২০

বেতন স্কেল: ৮,২৫০–২০,০১০ টাকা

আবেদনের বয়স: আবেদনকারীদের বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।

আরও পড়ুনএমিরেটস নেবে ১৭৩০০ কর্মী, পাইলট–কেবিন ক্রুর বেতন কত ২২ ঘণ্টা আগেআবেদনের শেষ দিন

আগ্রহী প্রার্থীরা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত আবেদন ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সরাসরি অথবা ডাকযোগে আগামী ২১ আগস্টের মধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ে আবেদনপত্র পৌঁছাতে হবে।

আবেদন ফি বাবদ ক্রমিক নম্বর–১ পদের জন্য ৪০০/- (চার শ) টাকা এবং ক্রমিক নম্বর–২ থেকে ৬ পর্যন্ত পদের জন্য ৩০০/- (তিন শ) টাকা মাননীয় চেয়ারম্যান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, রাঙামাটির নামীয় সোনালী ব্যাংক পিএলসি, নিউ কোর্ট বিল্ডিং শাখা, রাঙামাটির চলতি হিসাব নম্বর–৫৪১৯২৪০০০০৪৭২–তে জমা দিয়ে মূল জমা স্লিপ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। যাঁরা এর আগে আবেদন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট আবেদন অযোগ্য হওয়ার কারণে আবার আবেদন করার ক্ষেত্রে তাঁরা আগের দেওয়া জমা স্লিপের ফটোকপি সংযুক্ত করতে পারবেন।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা জাদুঘর–এ খণ্ডকালীন নিয়োগ, অফিস ৫ ঘণ্টা২৪ জুলাই ২০২৫

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় পরবর্তী সময়ে নোটিশ বোর্ড ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ওয়েবসাইটে জানানো হবে।

*আবেদনের বিস্তারিত দেখুন এখানে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসক নেই, বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। ফলে তেমন একটা রোগীও নেই। এই ‘নাই নাই’ হাসপাতালটির নাম মাস্টারদা সূর্য সেন মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র। এভাবে কি একটা হাসপাতাল চলতে পারে? প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যাওয়ার এমন নমুনা আমাদের হতাশ করে। দেশজুড়ে এ রকম আরও চিত্র আমরা দেখতে পাই, যা আমাদের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেয় না।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই ১০ শয্যার হাসপাতালটির মূল সমস্যা জনবলসংকট। ১৬টি পদের ১টিতেও স্থায়ী জনবল পদায়ন করা হয়নি। অন্য হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসে মাত্র তিনজন কর্মচারী (একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন মিডওয়াইফ ও একজন আয়া) সপ্তাহে কয়েক দিন করে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি জরুরি প্রসূতিসেবাকেন্দ্র, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ নেই, ডাক্তার নেই এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এর কার্যক্রম এখন প্রায় স্থবির।

হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। বিনা মূল্যের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এ পরিস্থিতিতে একজন রোগী কীভাবে এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন? যেখানে হাসপাতালের বাইরের সাইনবোর্ডে জরুরি প্রসূতিসেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা লেখা, সেখানে মূল ফটকে তালা ঝোলানো। এটি জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। হাসপাতালটি চালু না থাকায় মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ—দুটোরই অপচয় তো বটেই, চরম ভোগান্তিরও শিকার হতে হয় মানুষকে।

যে মিডওয়াইফরা এখানে কাজ করছেন, তাঁরা জানান, এখন মাসে মাত্র চার-পাঁচজন প্রসূতি সেবা নিতে আসেন, যেখানে আগে শতাধিক প্রসূতি সেবা পেতেন। নিরাপত্তা প্রহরীরা দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তবু নিয়মিত বেতন পাওয়ার আশায় তাঁরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। এ অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবলসংকটের কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।

একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিতে হবে? জনবল নিয়োগ, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা কার্যকর করা—সব ধরনের সংকট দূর করতে হাসপাতালটির দিকে আন্তরিক মনোযোগ দেওয়া হবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাতে ভোট গণনাসহ ছাত্রদলের ৬ দাবি, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত
  • ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে
  • যে হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ, বিদ্যুৎ–সংযোগ কিছুই নেই