গণযোগাযোগ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, ১৭৭ পদের জন্য করুন আবেদন
Published: 27th, July 2025 GMT
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির আবেদন চলছে। এ অধিদপ্তরে ১৭৭টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করা হবে। ১৪টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের সুযোগ আছে ২ দিন। আগ্রহীরা ২৮ জুলাই বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম ও সংখ্যা—
১.
পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ২টি
গ্রেড: ১৩
বেতনস্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা
আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হতে হবে।
২. পদের নাম: ঊর্ধ্বতন কণ্ঠশিল্পী
পদসংখ্যা: ৩টি
গ্রেড: ১৩
বেতনস্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা
আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংগীতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি অথবা সংগীতে ডিপ্লোমা থাকতে হবে।
৩. পদের নাম: সাউন্ড মেকানিক
পদসংখ্যা: ৪টি
গ্রেড: ১৪
বেতনস্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি (ভোকেশনাল) বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্সে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৪. পদের নাম: ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ২২টি
গ্রেড: ১৫
বেতনস্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা
আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ভারী মোটর গাড়ি চালনার লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং গাড়ি চালনায় অন্যূন দুই বছরের বাস্তব কর্ম-অভিজ্ঞতা।
৫. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৪০টি
গ্রেড: ১৬
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হতে হবে।
৬. পদের নাম: হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ২টি
গ্রেড: ১৬
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৭. পদের নাম: ঘোষক
পদসংখ্যা: ১৮টি
গ্রেড: ১৬
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হতে হবে।
৮. পদের নাম: স্টোর অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ২টি
গ্রেড: ১৬
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হতে হবে।
ছবি: খালেদ সরকারউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদ র ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসক নেই, বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। ফলে তেমন একটা রোগীও নেই। এই ‘নাই নাই’ হাসপাতালটির নাম মাস্টারদা সূর্য সেন মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র। এভাবে কি একটা হাসপাতাল চলতে পারে? প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যাওয়ার এমন নমুনা আমাদের হতাশ করে। দেশজুড়ে এ রকম আরও চিত্র আমরা দেখতে পাই, যা আমাদের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেয় না।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই ১০ শয্যার হাসপাতালটির মূল সমস্যা জনবলসংকট। ১৬টি পদের ১টিতেও স্থায়ী জনবল পদায়ন করা হয়নি। অন্য হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসে মাত্র তিনজন কর্মচারী (একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন মিডওয়াইফ ও একজন আয়া) সপ্তাহে কয়েক দিন করে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি জরুরি প্রসূতিসেবাকেন্দ্র, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ নেই, ডাক্তার নেই এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এর কার্যক্রম এখন প্রায় স্থবির।
হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। বিনা মূল্যের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এ পরিস্থিতিতে একজন রোগী কীভাবে এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন? যেখানে হাসপাতালের বাইরের সাইনবোর্ডে জরুরি প্রসূতিসেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা লেখা, সেখানে মূল ফটকে তালা ঝোলানো। এটি জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। হাসপাতালটি চালু না থাকায় মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ—দুটোরই অপচয় তো বটেই, চরম ভোগান্তিরও শিকার হতে হয় মানুষকে।
যে মিডওয়াইফরা এখানে কাজ করছেন, তাঁরা জানান, এখন মাসে মাত্র চার-পাঁচজন প্রসূতি সেবা নিতে আসেন, যেখানে আগে শতাধিক প্রসূতি সেবা পেতেন। নিরাপত্তা প্রহরীরা দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তবু নিয়মিত বেতন পাওয়ার আশায় তাঁরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। এ অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবলসংকটের কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিতে হবে? জনবল নিয়োগ, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা কার্যকর করা—সব ধরনের সংকট দূর করতে হাসপাতালটির দিকে আন্তরিক মনোযোগ দেওয়া হবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।