স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) নামে কোনো ছাত্র প্রতিনিধি নেই। কোনো ধরনের প্রতিনিধির অস্তিত্বও নেই।

রবিবার (২৭ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ তথ‌্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

এতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো অপরাধ বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বহন করবে। এর সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

এতে বলা হয়, গণমাধ্যমে (টিভি, অনলাইন, সোশ্যাল মিডিয়া, প্রভৃতি) "চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। সংবাদটি মিথ্যা এবং এর কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব‌লে‌ছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে একইসঙ্গে গণমাধ্যমের নিকট দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে। ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে যাচাই-বাছাই এবং আরো দায়িত্বশীল ও সতর্ক হওয়ার জন্য গণমাধ্যমসমূহকে অনুরোধ করা হ‌য়ে‌ছে।

শ‌নিবার চাদাবা‌জি কর‌তে গি‌য়ে ধরা প‌ড়ে বৈষম‌্যবি‌রোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা রিয়া‌দ। তাকে অনেক গণমাধ‌্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি উল্লেখ ক‌রে‌ সংবাদ প্রকাশ ক‌রে‌ছে। বিষয়‌টি নজ‌রে আসায় রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ বিজ্ঞ‌প্তি দি‌য়ে রিয়া‌দ সম্প‌র্কে তা‌দের অবস্থান প‌রিস্কার ক‌রে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ