সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ দম্পতি হাসপাতালে
Published: 28th, July 2025 GMT
সাভারের আশুলিয়ার একটি বাসায় সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে রান্নাঘরে জমা গ্যাসে আগুন লেগে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার (১৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ী এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। পরে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ মিন্টু (৩৫) ও তার স্ত্রী ববিতার (৩০) গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায়। তারা আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ীতে নজরুল ইসলামের একটি টিনশেড ঘরে ভাড়া থাকতেন।
আরো পড়ুন:
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: আহতদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
অভিযানে ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা.
প্রতিবেশীরা জানান, রবিবার কাজ শেষে বাসায় ফিরে সন্ধ্যার পর রান্নাঘরে যান মিন্টু। এ সময় ববিতাও তার সঙ্গে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেন।
ঘরের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, “মিন্টু ও ববিতা দুইজনেই একই গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সিগারেট খাওয়ার জন্য বারান্দার রান্নাঘরে যান মিন্টু। আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। তখন ববিতাও পাশে ছিলেন, তার গায়েও আগুন লাগে। রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ থেকে গ্যাস লিক করে জমে ছিল। বিস্ফোরণ হয়নি। রান্নাঘরের কোনো ক্ষতিও হয়নি।”
ববিতার চাচাতো ভাই প্রেমানন্দ চন্দ্র বর্মণ বলেন, “ডাক্তার বলছে, মিন্টুর অবস্থা ভালো না। ববিতার অবস্থা তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভালো। তারা দুইজনেই গোহাইলবাড়ী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে গার্মেন্টসে কাজ করতেন।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন র ন ন ঘর বব ত র অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন (২১) বিজিবির সিপাহি পদে চাকরি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ সময় আরফান হোসেনের বাবা মো. নুরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি
এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ বিজিবি আয়োজিত সিপাহি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন আরফান হোসেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।’’
আরফান হোসেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনটারী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা নুর ইসলাম দিনমজুর ও মা জাহানারা বেগম গৃহিণী। পরিবারের অন্য দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহান উদ্দিন স্নাতক পড়ছেন এবং আক্কাস আলী পড়ছেন এইচএসসিতে। দুই বোন মালেকা খাতুন ও কাজলী আক্তারের বিয়ে হয়েছে।
আরফান হোসেন বলেন, ‘‘ফেলানী হত্যার পর সারা দেশের মানুষ যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকে ইচ্ছে ছিল; বিজিবিতে চাকরি করব। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব।’’
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘‘ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে, দেশবাসী আর বিজিবি সব সময় আমাদের পাশে ছিল। আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেয়েছে। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।’’
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। তার নিথর দেহ কাঁটাতারের বেড়ায় দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলে ছিল। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠে।
ঢাকা/সৈকত/রাজীব