পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে কুপিয়ে জখম, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 28th, July 2025 GMT
ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদনের দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাদপুরের বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নগরবাড়ী-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ‘ভাড়া না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস চাই’, ‘সবার আছে নিজস্ব ক্যাম্পাস, আমরা কেন বঞ্চিত’—এমন নানা স্লোগানে তারা মুখর করে তোলেন পুরো এলাকা।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। এর আগে সকাল ১০টায় একই দাবিতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম হাসান তালুকদার, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন, যা চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডিপিপির অনুমোদন ও বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা হতাশাজনক। বারবার সংশোধনের পরও প্রকল্পটি একনেক সভায় উত্থাপিত হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘নয় বছর ধরে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভাড়া ভবনে চলছে—এটা শুধু আমাদের নয়, পুরো দেশের জন্যই লজ্জার। এর আগেও আমরা আন্দোলন করেছি। এবার স্থায়ী সমাধান ছাড়া রাজপথ ছাড়ব না।’ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিরাজ হোসেন বলেন, ‘পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করেছেন, প্রতিবেদনও দিয়েছেন। কিন্তু একনেক সভায় আমাদের ডিপিপি এজেন্ডাভুক্ত হচ্ছে না। কেন? এটা আমাদের বোধগম্য নয়।’
ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুর আজিজ বলেন, ‘আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে চাই, তবে তা স্থায়ী ক্যাম্পাসের আশ্বাস ছাড়া নয়। সরকার যেন আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা না নেয়।’
এর আগে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচিও শিক্ষার্থীরা বয়কট করে কালো ব্যাজ ধারণ ও মানববন্ধন করেন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চলমান নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রকল্পটি প্রস্তাবিত হয় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকায়। এরপর সাতবার সংশোধনের পর সর্বশেষ ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকায় নেমে আসে। প্রকল্প মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে ২০২৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।