নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী ও শাশুড়ি হত্যার মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
Published: 28th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা মামলার রায়ে কাউসার ফকির (৩৩) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান প্রথম আলোকে জানান, স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা মামলার রায়ে যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণা শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাউসার ফকির বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার সারোয়ার ফকিরের ছেলে। কাউসার কাঁচপুর এলাকায় ভাড়ায় থাকতেন এবং কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরীর মার্করি ফ্যাশন লিমিটেডের কর্মচারী ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কাউসার তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার লাভলীকে (২০) নিয়ে কাঁচপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁদের বাসায় বেড়াতে আসেন শাশুড়ি রাশিদা বেগম (৫৫) ও তাঁর ছেলে ইমদাদুল হক। ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরের খাওয়া শেষে ইমদাদুল বাসা থেকে বের হয়ে কাঁচপুরে বেড়াতে যান। এ সময় কাউসার ও শারমিনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রাশিদা বেগম মেয়ের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউসার ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে স্ত্রী লাভলীকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় শাশুড়ি রাশিদা বেগম প্রতিরোধের চেষ্টা করলে কাউসার তাঁকেও কোপাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই কাউসারের স্ত্রী ও শাশুড়ির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শ্যালক ইমদাদুল হক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেন। আদালত ওই মামলার রায়ে আজ কাউসার ফকিরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইয়ে দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত হয়ে বৈষম্যহীন দেশ গড়ব : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, আমাদের সেই জুলাইয়ের যাত্রায় যে রক্ত ঝরে ছিল এবং আহত হয়েছিল তাদের যে আত্মত্যাগ ছিল, সেগুলো যেন ভুলে না যাই।
এবং তাদের মধ্যে যে দেশ প্রেম ছিল। সেই দেশপ্রেমে যেন আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে একটি বৈষম্যহীন দেশ ও সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি। আর সেই স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজগঠন” এর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি বৈষম্যহীন সমাজ বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে এই মাস ব্যাপী পুনর্জাগরণ সফল হবে। এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাদের রক্ত ঝরেছে, সেই রক্তের প্রতিদান পরিষোধ হবে। পাশাপাশি আহতদের যে বেদনা, সেটি একটি নিরাপদ স্থান পাবে, একটি সুন্দর সমাজ গঠনের মাধ্যমে।
এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ” অনুষ্ঠানে সকাল ১০ টায় সারাদেশের সঙ্গে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সমাজকল্যান এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ শপথ পড়ান।
এসময়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে মহানগরীর সাবেক আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সরদার, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার আহ্বায়ক নিরব রায়হান, মহানগরের আহ্বায়ক মাহফুজ খান, জেলার সদস্য সচিব জাবেদ আলম প্রমুখ।