উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টন ন্যানোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রয়্যাল নেদারল্যান্ডস ইনস্টিটিউট ফর সি রিসার্চ (এনআইওজেড) ও উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, বিপুল পরিমাণ এই প্লাস্টিক সামুদ্রিক জীবন ধ্বংস করছে। এ ছাড়া মানবদেহে প্রবেশ করার মাধ্যমে মানবজাতির জন্যও ক্ষতির কারণ হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বড় প্লাস্টিকের ভাঙন ও অন্যান্য উৎস থেকে উদ্ভূত প্লাস্টিক কণার কারণে সমুদ্রের খাদ্যশৃঙ্খলের প্রভাব জানার চেষ্টা করছেন। এসব কণার অনুপ্রবেশ মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। বিভিন্ন প্রাণীর টিস্যুতে প্রবেশ করতে পারে এসব কণা। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে থাকা ন্যানোপ্লাস্টিক এক মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট। ফলে অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণাগুলো সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের পাশাপাশি মানবস্বাস্থ্যের জন্যও গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, আরভি পেলাগিয়া নামের একটি জাহাজে চড়ে সমুদ্রের পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর এক মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট প্লাস্টিক কণা ফিল্টার করতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত ম্যাস স্পেকট্রোমেট্রি কৌশল। এই গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক পরিবেশে ন্যানোপ্লাস্টিকের সঠিক মাত্রা চিহ্নিত করা হয়েছে।

ন্যানোপ্লাস্টিক উত্তর আটলান্টিক এলাকায় একাধিক স্থান দিয়ে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে প্রবেশ করছে। এসব কণা প্রায়ই সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা বৃহত্তর প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ ভেঙে যাওয়ার ফলে তৈরি হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়া থেকে মাছের মধ্যেও এসব কণার প্রবেশ ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন যে ক্ষুদ্র আকার ও ব্যাপক উপস্থিতির কারণে এসব কণা পরিষ্কার করা কার্যত অসম্ভব।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএলে বিদেশি দল, এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ যে মানের হয়, যেভাবে আয়োজন হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হরহামেশা। অতীতে সমালোচনার পর কিছুটা মান বেড়েছে। কিন্তু তারপরও ‘আপ টু মার্ক’ হয়নি।

বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিব‌্যি পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা যখন জাতীয় দলে এসে ধুকতে থাকেন তখন তারতম‌্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে। এজন‌্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে আসতে চায় বিসিবি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে যুক্ত করতে চায় বিদেশি দল।

বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম‌্যান আকরাম খান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট

সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার বেলায়েত হোসেন মারা গেছেন

বিসিএল শুরু থেকে ছিল ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব‌্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব‌্যাংক ইষ্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন নামে চারটি দল শুরুর কয়েক বছর বিসিএলে অংশ নিয়েছে। পেশাদারিত্বের ঘাটতি, পরিকল্পনার অভাব এবং বাণিজ‌্যিকভাবে লাভবান না হওয়ায় তিনটি ফ্রাঞ্চাইজি ধীরে ধীরে সরে যায়। পরবর্তীতে বিসিবি চারটি দলই নিজস্ব খরচে পরিচালনা করে বিসিএল চালু রাখে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব বোঝা যায়।

এজন‌্য বিসিবি সামনের আসরে বিদেশ থেকে একটি দল নিয়ে আসতে চায়। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। বিসিএল যেই সময়ে আয়োজন করতে চাচ্ছে সেই সময়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ব‌্যস্ত থাকবেন। আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে। বিসিবির পুরো খরচেই অতিথি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বাকি তিনটি দল গঠন করবে বিসিবি।

আকরাম খান বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথমবারের মতো বিসিএলে একটি বিদেশি দলকে পেতে যাচ্ছি। হয়তো তারা এ দল হিসেবে আসবে। নয়তো অন‌্য কোনো নামে। এক মাস এই টুর্নামেন্ট চলবে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’’

এদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবেন, কিভাবে আসবেন, পারিশ্রমিক কত হতে পারে সেসব নিয়ে এখনও কোনো উপায় খুঁজতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে ভালোমানের বিদেশি খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে।

তাদের পারিশ্রমিক চূড়ান্ত করা, পুরো আসরে অ‌্যাভেইলেভেল থাকবেন কিনা সেসব নিয়েও কাজ হচ্ছে। এজন‌্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না আকরাম।

আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই স্তরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আট দলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার রাখার ইচ্ছা বিসিবির। অতীতে বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছে। ইমরান ফরহাদ, আমির ওয়াসিমরা খেলেছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেণির এই টুর্মামেন্টে।

মূলত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং মান বাড়াতে এই উদ‌্যোগ নিতে যাচ্ছে আয়োজকরা। যদিও একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম প্লেয়িং কন্ডিশনে সব সময়ই ছিল, ছিল সর্বশেষ মৌসুমেও। বিভাগীয় দলগুলো আগ্রহ না থাকায় বিসিবিও জোর দেয়নি। তবে এবার বিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারকে যুক্ত করবে। পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখভাল করবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ