প্রত্যাশা ছিল অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে গায়ের জোরে ভিন্নমতের ওপর আক্রমণের ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতির অবসান হবে। অথচ নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে, ট্যাগ দিয়ে মাজারে হামলা হচ্ছে। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে, নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনে বাধা দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এসব অভিযোগ করেন। তাঁর মতে, এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকেও তৎপরতার ঘাটতি লক্ষণীয়। এর মাধ্যমে আসলে নিপীড়কদেরই শক্তিশালী করা হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে অবিলম্বে এ ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনরংপুরে মহানবী (সা.

)–কে কটূক্তির অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার, ১৪টি বসতঘর ভাঙচুর২৭ জুলাই ২০২৫

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নে গত শনিবার রাতে দুই দফায় হিন্দুধর্মাবলম্বী প্রায় ১৫টি পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার পর পরিবারগুলোর মধ্যে চরম ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। এক কিশোর ছেলের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কিশোর দাবি করেছে, এটা ফেইক পোস্ট। পুলিশ সেই কিশোরকে গ্রেপ্তার করার পরও কিছুসংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল জনতা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

আরও পড়ুনরংপুরে হামলার শিকার পরিবারগুলো আতঙ্কে, বাড়ির মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে২৮ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনরংপুরে হামলার দুই দিন পরও মামলা হয়নি, প্রশাসনের উদ্যোগে বসতবাড়ি মেরামত৭ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

গাড়িটার জন্য খারাপ লাগছে

আগের পর্বআরও পড়ুনএভাবে অপমান!২১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ