সম্প্রতি নতুন একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড প্রযোজিত সিনেমাটি নির্মাণ করবেন আবু হায়াত মাহমুদ। সিনেমার নাম ঘোষণা না হলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ায়, ছবিতে নব্বই দশকের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরের চরিত্রে অভিনয় করবেন শাকিব। এ বিষয়ে তখন কোনো মন্তব্য না করলেও এবার খবরটি ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছেন আবু হায়াত মাহমুদ এবং সিনেমার প্রযোজক শিরিন সুলতানা। আজ বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে তাঁরা বিষয়টি নাকচ করেন।

আরও পড়ুনএকসঙ্গে সময় কাটাবেন শাকিব, শেহজাদ, থাকবেন বুবলীও২৫ জুলাই ২০২৫

লিখিত বিবৃতিতে পরিচালক ও প্রযোজক জানান, ‘মেগাস্টার শাকিব খানকে নিয়ে আমরা যে সিনেমাটি করতে যাচ্ছি, সেটি নিয়ে কিছু ভুল তথ্য ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বলা হচ্ছে, আমরা যে সিনেমাটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি, সেটা কালা জাহাঙ্গীর নামক ব্যক্তির জীবনীনির্ভর, এই তথ্যটি একেবারে সঠিক নয়। আমাদের প্রোডাকশন হাউস ‘‘ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড” এবং পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো মন্তব্য কোথাও দেওয়া হয়নি।’
বিবৃতি আরও লেখা হয়, ‘পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছি, আমরা যে সিনেমাটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি, সেটি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জীবনীনির্ভর নয়। গুলিস্তান টু গুলশান সব ধরনের দর্শকের উপভোগের কথা মাথায় রেখে আমরা লার্জার দ্যান লাইফ স্কেলে সিনেমাটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি ৯০ দশকের ঢাকাকে কেন্দ্র করে একটি গল্প, যেখানে ক্রাইম, লাভ-অ্যাকশন-ইমোশন, ফ্যামিলি ড্রামা সবকিছুই থাকবে। আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাদের অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর আপনারা বিশ্বাস করে বিভ্রান্ত হবেন না।’

শাকিব খানের সঙ্গে নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ এবং প্রযোজক শিরিন সুলতানা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বুড়িরচরের জোড়খালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা-পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মো. আলাউদ্দিন সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিষপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার শ্বশুরবাড়িতে পালিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে হাতিয়া থানা হাজতে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন জোড়খালী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে সরকার বিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। গোপন সংবাদে বিষয়টি টের পাওয়ার পরই তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আলাউদ্দিন ও তাঁর ১৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার পরিকল্পনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাতিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ