অনিশ্চয়তা কেটেছে, কিন্তু কী ছাড় দিলাম জানা দরকার
Published: 2nd, August 2025 GMT
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। তাতে কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদসহ সচেতন মহলে যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, সেটি কমেছে। বাংলাদেশি পণ্যে নতুন করে যে পাল্টা শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, তা আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান বা কাছাকাছি। যদিও চীনের পাল্টা শুল্কহার এখনো চূড়ান্ত করেনি ট্রাম্প প্রশাসন।
তারপরও বাংলাদেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক কমানোর ঘোষণা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মনে কিছুটা স্বস্তি এনেছে। এতে মার্কিন বাজারে আমাদের রপ্তানি পণ্যের তুলনামূলক প্রতিযোগিতাসক্ষমতা বজায় রাখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একদিকে পাল্টা শুল্ক ১৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে, অন্যদিকে আমরা এই শুল্ক কমানোর জন্য কী কী ছাড় দিয়েছি অর্থাৎ কোন কোন জায়গায় ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা–ও বিবেচনায় নিতে হবে। আমরা দেশটিকে যা যা দিয়েছি, তা অর্থনৈতিক মূল্যমান ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার নিরিখে বিচার করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট বা এনডিএ থাকায় আমরা এখনো অনেক বিষয়ে পরিষ্কার জানি না। তবে এখন গোপনীয়তা বজায় রাখার আর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এটাও মনে রাখতে হবে যে আমরা যা দিতে স্বীকৃত হয়েছি, তার অধিকাংশই পরবর্তী নির্বাচিত সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমরা যেসব বিষয়ে ছাড় দিয়েছি, তাতে প্রাতিষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতা আছে, কিছু কিছু বিষয়ে অন্য দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপার আছে, যেগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্কছাড় দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের বেশ বড় আকারে শুল্ক আদায় হ্রাসের বিষয়ও যুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারি কেনাকাটার শর্ত পূরণের জন্য বাড়তি খরচও বহন করতে হবে। এই সবকিছুরই অর্থনৈতিক অভিঘাত আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বহুপক্ষীয় বাণিজ্যনীতির বিরোধী। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, এ ধরনের উচ্চশুল্ক বিশ্ব অর্থনীতি ও বিশ্ববাণিজ্যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশের সামগ্রিক রপ্তানির ওপরও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বাড়তি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারেরও সংকোচনের আশঙ্কা রয়েছে। আর সেটি হলে তা বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য ইতিবাচক হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্কে ভিয়েতনামসহ বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো সমপর্যায়ে রয়েছে। এখন প্রতিযোগী দেশগুলোর সবাই উৎপাদনের খরচ কমিয়ে প্রতিযোগিতাসক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করবে। পাল্টা শুল্কের ফলে মার্কিন আমদানিকারকদের সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের দর–কষাকষির গুরুত্ব বেড়ে যাবে। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, মেধাস্বত্ব আইনের প্রয়োগ, শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অন্য অশুল্ক বিষয়গুলোর গুরুত্বও বেড়ে যাবে।
ভবিষ্যতে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতাক্ষমতা বজায় রাখতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়ন, ব্যবসার খরচ কমানো, বাণিজ্য সহজীকরণের ওপর নজর দেওয়া আরও জরুরি হয়ে পড়বে।
মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মাননীয় ফেলো, সিপিডি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন