বৃত্তি পরীক্ষা আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে
Published: 2nd, August 2025 GMT
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ শনিবার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এ বিবৃতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আরও কেউ কেউ এ উদ্যোগে আপত্তি করেছেন। তাঁদের মতে, নির্ধারিতসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে আয়োজিত এ পরীক্ষা বাস্তবে শিশুদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং এটি শিশুদের বিকাশেরও পরিপন্থী। এতে মেধাবী ও অমেধাবী, এমন একটি বিভাজনও তৈরির আশঙ্কা আছে।এ বছর থেকে আবারও প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। যদিও প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত পরামর্শক কমিটির প্রধান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদের মতে, এ পরীক্ষা নেওয়া হলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তাঁর মতে, এ পরীক্ষা নেওয়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই; বরং সামগ্রিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষায় সমতা ও গুণগত মান উন্নত করার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আরও কেউ কেউ এ উদ্যোগে আপত্তি করেছেন। তাঁদের মতে, নির্ধারিতসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে আয়োজিত এ পরীক্ষা বাস্তবে শিশুদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং এটি শিশুদের বিকাশেরও পরিপন্থী। এতে মেধাবী ও অমেধাবী, এমন একটি বিভাজনও তৈরির আশঙ্কা আছে।
এদিকে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদেরও এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন কিন্ডারগার্টেনগুলোর উদ্যোক্তারা।
এ রকম অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।
আরও পড়ুনআবারও বৃত্তি পরীক্ষা, আপত্তি শিক্ষাবিদদের০৯ মে ২০২৫বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই একটি, শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’। শিক্ষা জরিপগুলোতে দেখা যায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। পক্ষান্তরে, কিন্ডারগার্টেনের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে সচ্ছল পরিবারের। বৃত্তি পরীক্ষা এই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিন্ডারগার্টেনগুলো তাদের অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুধু কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রেখেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। এ জন্য এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বৃত্তি পরীক্ষা চালু করার দাবি উত্থাপিত হয়।
এ পরীক্ষা নেওয়া হলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তাঁর মতে, এ পরীক্ষা নেওয়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই; বরং সামগ্রিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষায় সমতা ও গুণগত মান উন্নত করার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।মনজুর আহমদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত পরামর্শক কমিটির প্রধানমন্ত্রণালয় বলছে, দেশের সংবিধান ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ নীতি কার্যকর নেই। যাঁরা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তাঁরা স্বেচ্ছায় তা করেন। এসব বিবেচনায় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের আগে পৃথকভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো। পঞ্চম শ্রেণির বাছাই করা শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেত। কিন্তু সেটি বাদ দিয়ে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা। এতে বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারত সব শিক্ষার্থীই।
শিক্ষা জরিপগুলোতে দেখা যায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। পক্ষান্তরে, কিন্ডারগার্টেনের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে সচ্ছল পরিবারের। বৃত্তি পরীক্ষা এই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।যদিও পিইসি পরীক্ষা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা ছিল। কারণ, এ পরীক্ষার নামে একধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কোচিং-প্রাইভেটের প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, ছোটদের এ পরীক্ষাতেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। যদিও করোনা পরিস্থিতি ও এরপর নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা বিবেচনায় পিইসি পরীক্ষা আর হয়নি।
কিন্তু ২০২২ সালে বছরের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে আকস্মিকভাবে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখনো বিশেষজ্ঞরা সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বৃত্তি পরীক্ষার ফল নিয়ে ব্যাপক ভুলভ্রান্তির ঘটনা ঘটে।
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ২০২৩ সালেও বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও শেষমেশ তা আর হয়নি। এখন আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ন ড রগ র ট ন এ পর ক ষ ক জ করব র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বৃত্তি পরীক্ষা আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ শনিবার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এ বিবৃতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আরও কেউ কেউ এ উদ্যোগে আপত্তি করেছেন। তাঁদের মতে, নির্ধারিতসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে আয়োজিত এ পরীক্ষা বাস্তবে শিশুদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং এটি শিশুদের বিকাশেরও পরিপন্থী। এতে মেধাবী ও অমেধাবী, এমন একটি বিভাজনও তৈরির আশঙ্কা আছে।এ বছর থেকে আবারও প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। যদিও প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত পরামর্শক কমিটির প্রধান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদের মতে, এ পরীক্ষা নেওয়া হলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তাঁর মতে, এ পরীক্ষা নেওয়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই; বরং সামগ্রিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষায় সমতা ও গুণগত মান উন্নত করার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আরও কেউ কেউ এ উদ্যোগে আপত্তি করেছেন। তাঁদের মতে, নির্ধারিতসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে আয়োজিত এ পরীক্ষা বাস্তবে শিশুদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং এটি শিশুদের বিকাশেরও পরিপন্থী। এতে মেধাবী ও অমেধাবী, এমন একটি বিভাজনও তৈরির আশঙ্কা আছে।
এদিকে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদেরও এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন কিন্ডারগার্টেনগুলোর উদ্যোক্তারা।
এ রকম অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।
আরও পড়ুনআবারও বৃত্তি পরীক্ষা, আপত্তি শিক্ষাবিদদের০৯ মে ২০২৫বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই একটি, শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’। শিক্ষা জরিপগুলোতে দেখা যায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। পক্ষান্তরে, কিন্ডারগার্টেনের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে সচ্ছল পরিবারের। বৃত্তি পরীক্ষা এই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিন্ডারগার্টেনগুলো তাদের অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুধু কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রেখেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। এ জন্য এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বৃত্তি পরীক্ষা চালু করার দাবি উত্থাপিত হয়।
এ পরীক্ষা নেওয়া হলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। তাঁর মতে, এ পরীক্ষা নেওয়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই; বরং সামগ্রিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষায় সমতা ও গুণগত মান উন্নত করার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।মনজুর আহমদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত পরামর্শক কমিটির প্রধানমন্ত্রণালয় বলছে, দেশের সংবিধান ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ী দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ নীতি কার্যকর নেই। যাঁরা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তাঁরা স্বেচ্ছায় তা করেন। এসব বিবেচনায় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের আগে পৃথকভাবে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো। পঞ্চম শ্রেণির বাছাই করা শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেত। কিন্তু সেটি বাদ দিয়ে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা। এতে বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারত সব শিক্ষার্থীই।
শিক্ষা জরিপগুলোতে দেখা যায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। পক্ষান্তরে, কিন্ডারগার্টেনের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে সচ্ছল পরিবারের। বৃত্তি পরীক্ষা এই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।যদিও পিইসি পরীক্ষা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা ছিল। কারণ, এ পরীক্ষার নামে একধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কোচিং-প্রাইভেটের প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, ছোটদের এ পরীক্ষাতেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। যদিও করোনা পরিস্থিতি ও এরপর নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা বিবেচনায় পিইসি পরীক্ষা আর হয়নি।
কিন্তু ২০২২ সালে বছরের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে আকস্মিকভাবে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখনো বিশেষজ্ঞরা সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বৃত্তি পরীক্ষার ফল নিয়ে ব্যাপক ভুলভ্রান্তির ঘটনা ঘটে।
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ২০২৩ সালেও বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও শেষমেশ তা আর হয়নি। এখন আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫