Prothomalo:
2025-08-03@14:03:28 GMT

গোপনে পূরণ হবে অবিনাশী দাবি

Published: 3rd, August 2025 GMT

আমাদের স্বাস্থ্যবিধি

বাকির খাতায় লেখা জরুরি অক্ষর

কিছুটা অস্পষ্ট থাকে, অপাঠ্য অর্থেরা

কিছু নাম, কিছু অঙ্ক ভুল হয়ে থাকে

গাণিতিক সত্যমতে তবু মূলে ফেরা।

অস্তিত্বের শুদ্ধ ডাক ফেরাতে পারি না

পলির সীমানা এঁকে পালায় সময়

দুহাতে যায় না ধরা সকল জবাব—

কেবল জমানো প্রশ্ন, কী জানি কী হয়!

চর্মচক্ষে দেখা ছাড়া আমি নিরুপায়

কত যে ক্ষতাক্ত হয় দেহের পরিধি

কতটা গভীর হলে কান্না জমে থাকে

আমাদের সেই সূত্র জানে স্বাস্থ্যবিধি।

কোঁচড়ে কুড়িয়ে ভুল, লিখি নোটবুকে

যতিচিহ্ন লেপটে থাকে ললাটে চিবুকে।

একা সন্ত, একা সব

যেন আমি ভেসে এসে হেসে হেসে যাই

দরজা ডিঙিয়ে একা নীরবে পালাই

যেন আগে আসি নাই নিচুদের পাড়া

সহসা সন্ত্রস্ত ফিরি নিজ পাহারায়।

আমাকে তাড়িয়ে দিয়ে কোথায় লুকাবে

যেন তুমি একা সন্ত, একা ভাঙো ঘর

একার সন্ন্যাস নিয়ে আমার কী দায়

একটু পাবার লোভে হারাও বিস্তর।

যে হারে, সে জিতে যায় পরিণাম বলে

সুদীর্ঘ ভ্রমণ শেষে মধুমতী-জলে

আকণ্ঠ প্লাবিত হই, স্নিগ্ধতার স্রোতে

নিজেকে উপাস্য ভাবি অন্য কোনো ব্রতে।

জগতের রীতি মেনে প্রবেশ-প্রস্থান

প্রতি পলে বেঁচে উঠি আমি হন্যমান।

আঁচলের আঁচে

এবার বিরত হই, অনেক তো হলো

জলকেলি, ঘরের ভেতর থেকে ডেকে

উন্মুক্ত উঠোনে পিঁড়ি পেতে বসিয়েছি

আঁধারে মোড়ানো পথ গেছে এঁকেবেঁকে।

সুবিশাল সমাবেশে দাঁড় করিয়েছি

মঞ্চ পেতে সাজিয়েছি উদার বাসর

আঙুলের ইশারায় ফেরাওনি ঘরে

বিশাল প্রান্তর আজ বেহুলার ঘর।

একবার চলে গেলে নাগিনী ফেরে না

আশার পথের দিকে চোখ রেখে ভাবি

হয়তো কখনো এসে মৃদু টোকা দেবে

গোপনে পূরণ হবে অবিনাশী দাবি।

একা দূরে চলে যাই, তাতে সুখ আছে

আর তো পাব না দুঃখ আঁচলের আঁচে।

নাচের সংহত মুদ্রা

দেখুন, আমার যতটুকু সাধ্য ছিল তা করেছি

কাঁধে বয়ে নিয়ে হাটে কাঁচাপাকা তরমুজ বেচি

যখন যা দরকারি মনে হয়, তখন তা করি

ওষুধের ভান্ড হাতে ঘুরিফিরি আমি ধনন্তরী।

আমার রয়েছে সাধ, ঘুরপথে সাধুর টিলায়

চলে যাই একা আর নেমে পড়ি যোগসাধনায়

গুপ্ত মন্ত্রে জাদু করে দেখে নিই পড়শির মুখ

কেবল বোঝাতে চাই, কিছু কাজ তুড়ি মেরে পারি।

ক্ষোভের সলতেটুকু অন্ধকারে নিভু নিভু জ্বলে

দুলে ওঠে মধুমতী, নেচে নেচে একা বয়ে চলে

দুচোখে উপেক্ষা মেখে জব্দ করি জলের ভ্রূকুটি

কখনো খুঁজিনি তার মুখসজ্জা অভিনয়-ত্রুটি।

নাচের সংহত মুদ্রা, কিছু কিছু জেনে রাখা ভালো

বোঝা যাবে কার মুখ, কার দিকে দুবাহু বাড়াল।

কালের পুরাণ

রামকে দিইনি দোষ—কালের নায়ক

সীতার সদ্ভাব মেনে রামায়ণ লিখি

ভরতের রাষ্ট্রনীতি ভক্তিপুষ্পে ঢাকা

সকল দোষের দাগী সুকবি বাল্মিকী।

কৈকেয়ীকে আর আমি দেব না সন্তাপ

তার বরে রাজা হয় গর্ভের ভরত

রাম গেছে বনবাসে চৌদ্দটি বছর

জেনেছে শাসনকলা চড়ে দিব্যরথ।

প্রকৃতির পাঠ থেকে জীবন শিখেছে

সীতার সতীত্ব বাঁচে অগ্নিপরীক্ষায়

যুদ্ধবিদ্যা পারদর্শী লক্ষ্মণের ভ্রাতা

সুগ্রীব ও হনুমান দুঃসাহসী বীর।

ইতিহাস হয়ে ওঠে কালের পুরাণ

অগোচরে রাখি সত্য, গাই জয়গান।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টাকে গিয়াসউদ্দিনের স্মারকলিপি 

নারায়ণগঞ্জের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রধান করেছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ ৪-আসনের সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনসহ সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

রবিবার বেলা ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার কাছে এই স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। এসময় জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর এবং ২০২৫ সালের ২৫মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কাছেও পাঠানো হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, মানুষের দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষোভ বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। 

তিনি আরও জানান, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের সময় ডিএনডি এলাকায় অতিরিক্ত পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে মানুষের দুর্ভোগ কমানো হয়েছিল।

কিন্তু ২০০৭ সালের পর থেকে আর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে লাখো মানুষ বছরের পর বছর তীব্র ভোগান্তি ও ক্ষোভ নিয়ে বসবাস করছে।

স্মারকলিপিতে ডিএনডি এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দুই দফা দাবি জানানো হয়েছে। তা হলো, অবিলম্বে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূর করা। আর স্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম,এ,হালিম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি জি,এম,সাদরিল, এস,এম,আসলাম, ডি,এইচ,বাবুল, রওশন আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, যুগ্ম-সম্পাদক এ্যাডঃ খন্দকার আক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির  সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাঈনুল হাসান রতন, মাহাবুবুর রহমান সুমন, এ্যাডঃ হাবিবুর রহমান মাসুম, আশিক মাহমুদ সুমন, নাছির প্রধানসহ আরো অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ