ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় উল্টো পথে চলা একটি অটোরিকশাকে চাপা দিয়েছে লড়ি। এ ঘটনায় অটোরিকশাটির আরোহী নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

রবিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাইপাইলের দিক থেকে একটি অটোরিকশা উল্টো পথে ঢাকা ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সামনে থেকে আসা একটি লড়ি দেখে চালক রিকশাটি রাস্তার মাঝখান দিয়ে সরানোর চেষ্টা করেন।

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে ট্রাক উল্টে চালক নিহত, হেলপার আহত

বিজয়নগরে অটোরিকশার সঙ্গে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ৫

রাস্তায় পানি থাকায় রিকশাটি একটি গর্তে পড়ে উল্টে যায়। এসময় লড়ির পেছনের চাকা অটোরিকশার চালক ও যাত্রীদের চাপা দেয়।

ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। আহত অবস্থায় রিকশাচালকসহ তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক আরো দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে একজন শিশু, একজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী লিটন আহমেদ বলেন, ‍“আমি রাস্তা পার হচ্ছিলাম। রিকশাটি গর্তে পড়ে উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে একটি লড়ির পেছনের চাকায় চাপা পড়েন যাত্রীরা। একজন ঘটনাস্থলে মারা যান, বাকি তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে একজন শিশু ও একজন নারী ছিলেন।”

ঘটনাস্থলের পাশের দোকানদার মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, “আমি দোকানে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি রিকশা উল্টে আছে। একজন মারা গেছেন। বাকিদের হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো দুইজন মারা যান।”

সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। উল্টো পথে একটি অটোরিকশা তিনজন যাত্রী নিয়ে ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিল। রিকশাটি সড়কের গর্তে পড়ে উল্টে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লড়ির নিচে চাপা পড়ে। আহত একজন চিকিৎসাধীন।”

তিনি আরো বলেন, “দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা কিছুক্ষণের জন্য সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ বুঝিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।”
 

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এতে একজন শিক্ষকসহ হোটেলের দুই কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম শিপন মিয়া (৩০)। তিনি বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামের মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক মিয়ার ছেলে। নবীনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ২০টি মামলা আছে।

গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তিরা হলেন বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এমরান হোসেন (৩৮) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী—উপজেলার আলমনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন মিয়া (২০) ও চরলাপাং গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে নুর আলম (১৮)। এমরান উপজেলার শ্যামগ্রামের মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। তাঁর ভাই ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেন।

বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মনেক ডাকাত এলাকাটা শেষ করে ফেলেছেন। তাঁর কারণেই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েছে। মনেক ডাকাতদের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে মনেক ডাকাতের ছেলে নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় মোন্নাফ মিয়া ও তাঁর ছেলে শিপনের দীর্ঘদিন ধরে একক প্রভাব ছিল। তাঁদের সঙ্গে একই এলাকার থোল্লাকান্দি গ্রামের মিস্টার মিয়ার ছেলে আরাফাত মিয়ার বিরোধ চলছিল। শনিবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে শিপন মিয়া আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি দল হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপনসহ হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াসিন ও নুর আলম গুলিবিদ্ধ হন। গুলির শব্দে বাজারজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলার পর আরাফাত ও তাঁর সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে যান।

শিপনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর নুরজাহানপুরে পৌঁছালে মোন্নাফ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক গণি শাহ মাজারের অদূরে তালতলায় এমরান হোসেনের কার্যালয়ে হামলা চালান। সেখানে এমরান গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাঁরা থোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাতে ঘটনাস্থলে অভিযান চালালেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কারণ, উভয় পক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ কাউকেই শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়নি। তাঁদের হয়তো অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শিপনের ওপর হামলাকারী আরাফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেনের আত্মীয়। এ কারণেই এমরানের কার্যালয়ে গিয়ে হামলা এবং তাঁকে গুলি করা হয়েছে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত শিপন ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। শিপন ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ২০টি মামলা আছে। ওই ঘটনায় একজন শিক্ষকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক। তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার
  • ত্রাস সৃষ্টি, টার্গেট কিলিং: ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন ভাবমূর্তি
  • ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা