ফ্লাইট এক্সপার্ট–সংশ্লিষ্টদের হিসাব জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
Published: 4th, August 2025 GMT
উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেড’–এর পরিচালক এবং শেয়ারহোল্ডারদের সব আর্থিক হিসাব (ব্যাংক হিসাব, মুঠোফোনে আর্থিক সেবা ও পেমেন্ট গেটওয়ে) জব্দের নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। পাশাপাশি আদালতের অনুমতি ছাড়া ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেডের সব পরিচালক, সুবিধাভোগী মালিক ও ব্যবস্থাপনায় যুক্ত ব্যক্তিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে রিটে।
‘শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে ফ্লাইট এক্সপার্ট!’ শিরোনামে ২ আগস্ট একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর সঙ্গে অন্যান্য গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পাভেল মিয়া আজ সোমবার রিটটি করেন।
পরে পাভেল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুনফ্লাইট এক্সপার্ট হঠাৎ বন্ধ, মালিক ও কর্মকর্তার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ০২ আগস্ট ২০২৫২ আগস্ট প্রকাশিত ওই খবরে বলা হয়, অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার দেশের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। তাদের অফিস বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ওয়েবসাইট হারিয়ে গেছে। কিন্তু বহু এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্টে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৭ সালের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইট এক্সপার্ট। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন (কক্ষ সংরক্ষণ), ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো বিভিন্ন সেবা দিত তারা।
আরও পড়ুনব্যবসায়ীরা টিকিট ‘রিফান্ড’ আতঙ্কে, টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা০৩ আগস্ট ২০২৫আরও পড়ুনফ্লাইট এক্সপার্টের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা, তিন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার০৩ আগস্ট ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে এক কর্মচারী চাকরিচ্যুত
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দুই বছর আগে যোগদান করা চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সত্যতা পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৪৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চাকরিচ্যুত কর্মচারী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বুক সর্টার অর্পনা কুমারী। তাঁর চাকরিচ্যুতির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলিমুল ইসলাম প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, মার্কশিট ও সার্টিফিকেট টেম্পারিং করে অর্পনা চাকরি নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শেষে সত্যতা পেয়ে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০২৩ (সংশোধিত)’-এর ৪ (২) ধারা অনুযায়ী অর্পনাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের ৪৮তম সভায় উপস্থাপন করা হলে, তা বিবেচনায় নিয়ে গত ৩১ মে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্পনা কুমারীর বিরুদ্ধে চাকরিতে যোগদানের সময় নির্ধারিত বিধি ও যোগ্যতা উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিয়োগ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই আদেশ ৪ আগস্ট (আজ সোমবার) থেকে কার্যকর হবে। পাশাপাশি অর্পনা কুমারীকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে সরকারি নিরীক্ষা দল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আর্থিক নিরীক্ষায় তাঁর দায়িত্বে থাকা সময়ে কোনো আর্থিক দায়দেনা নিরূপিত হলে, এর দায়ভার তাঁকেই বহন করতে হবে।