গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর নিষিদ্ধ অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পারভেজ, মিরপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মজিবর রহমান, আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, নবাব কাটরা ইউনিট যুবলীগের সহসভাপতি মো.

কলিম,  কদমতলী থানার সাবেক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজ্জ্বল, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি রেদওয়ান খান বোরহান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান, অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল গনি কৌশিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এরশাদুর রহমান রিফাত, চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর পৌর সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন পলাশ।

ডিবির বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার হাবিবুর রহমান ও জিয়াউল হক জিয়াকে গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম। একই দিন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ও মজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি রমনা বিভাগের একটি টিম। ডিবি লালবাগ বিভাগ মো. কলিমকে গ্রেপ্তার করে। হাবিবুর রহমান উজ্জ্বলকে সোমবার ফতুল্লা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগের টিম। মুগদা এলাকা থেকে রেদওয়ান খান বোরহানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি উত্তরা বিভাগ। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার সোহানুর রহমান, আতাউল গনি কৌশিক, এরশাদুর  রহমান রিফাত ও জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের টিম।

সিটিটিসির বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের একটি টিম।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ব ব র রহম ন গ র প ত র কর স মব র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আদিবা হোসেন

সর্বস্তরের মানুষের অধিকার রক্ষা হয়, এমন বাংলাদেশ বিএনপি গড়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম চায় দুর্নীতি বন্ধ হোক এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে উঠুক। জাতি চায় সত্যিকারের সংস্কার। সত্যিকারের সংস্কার হবে জনগণের মাধ্যমে।

আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মুকামবাজার এলাকায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় সৈয়দা আদিবা হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বাবা প্রয়াত সৈয়দ মকবুল হোসেন লিচু মিয়া এ আসনে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকাবাসীর জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করেছেন। আমি তাঁর পথ অনুসরণ করে ধানের শীষের আদর্শে জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।’

সামাজিক, সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে আদিবা হোসেন বলেন, ‘আমাদের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। শিক্ষা, যোগাযোগ, চিকিৎসা—সব দিক দিয়েই অনেক কাজ করতে হবে। আমরা একটা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সর্বস্তরের মানুষের নাগরিক অধিকার রক্ষা হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি সারা দেশে কাজ করছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সৈয়দা আদিবা হোসেনের প্রয়াত বাবা এই অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তাঁরই রাজনৈতিক উত্তরসূরি সৈয়দা আদিবা হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এখানকার গ্রাম, হাটে ঘুরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এখন দুই উপজেলার প্রতিটি ঘরে গিয়ে তিনি বিএনপির ৩১ দফার পক্ষে জনমত গড়ে তুলছেন। তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত রাখতেও তিনি কাজ করছেন। জনবান্ধব এই নেত্রীকেই আগামী নির্বাচনে দল মনোনয়ন দেবে বলে কর্মী-সমর্থকেরা বিশ্বাস করেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাদেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারেক জলিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলালুজ্জামান হেলাল, সহসভাপতি আবদুল কাদির সেলিম, আমুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহেল আহমেদ, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাদেক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিলাদ আহমেদ, আলীনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদ, লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় আটক ৬
  • ভোট ছাড়া সমঝোতায় জুয়েলার্স সমিতির নতুন পর্ষদ, সভাপতি এনামুল হক খান
  • ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, এলাকায় উত্তেজনা
  • ছাত্রদলের কমিটি নেই ১৪ মাস, স্থবির কার্যক্রম
  • মামলায় ঝুলে গেছে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন
  • গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আদিবা হোসেন
  • সম্মেলনের প্রায় তিন মাস পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি