বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকটে আহমেদ আযম খান বলেছেন, “এক বছরে নির্বাচিত সরকার না আসার কারণে এখনো বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা স্থবির হয়ে আছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও বিদেশিরা তারা কিন্তু অনিশ্চিয়তায় মধ্যে আছে।”

তিনি বলেন, আমি বলব, অনিশ্চিয়তা কাঁটাতে বাংলাদেশে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অর্থনীতিকে চাঁঙ্গা করার জন্যে অবশ্যই দ্রুত নির্বাচন দরকার।”

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিজয় র‌্যালি শুরুর আগে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয় উপলক্ষে এ র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থান দিবস: ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

কিশোরগঞ্জে আনন্দ মিছিলে বিএনপি নেতার মৃত্যু, অসুস্থ ৩

আহমেদ আযম খান বলেন, “দুই-একটি রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি যাতে নির্বাচন না হতে পারে। মনে রাখতে হবে- যার ভোটের মাঠে ভোট নেই, দশ বছর পরে নির্বাচন করলেও তার ভোটের মাঠে ভোট হবে না। নির্বাচন দেরিতে হলে তারা কিছুটা লাভবান হতে পারেন, তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ।” 

তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান বলেছেন ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। ব্যক্তি স্বার্থে ও দলের স্বার্থে যারা কথা বলছেন, তারা দেশের কথা ভাবছেন না।” 

বিএনপির এই নেতা বলেন, “লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন। বিষয়টাকে সরকার গুরুত্ব দেবেন। আমরা প্রস্তুত হয়ে আছি, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আমরা নির্বাচনে যাব।”

আহমেদ আযম খান বলেন, “রাজনৈতিক দুই-একটি দল পিআর পদ্ধতির কথা বলছে। এখনো পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে বাংলাদেশের ভোটাররা কিছুই জানেন না। রাজনৈতিক দলগুলোও অনেকটা অবহিত নয়। আমাদের পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তানে এখানো পিআর পদ্ধতি নেই।”

তিনি বলেন, “যে দেশগুলোতে পিআর পদ্ধতি আছে, সেই পিআর পদ্ধতি আমাদের বুঝতে ও জানতে হবে। কত শতাংশ ভোট পেলে পিআর পদ্ধতির আওতায় আসবে সেটা তো আগে জানতে ও বুঝতে হবে। জনগণকে পিআর পদ্ধতি বুঝতে হবে।”

উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আকতারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী খান। 

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র জন ত ক দ ব এনপ র স আযম খ ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 
  • মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
  • দুবলারচরে পুণ্যার্থীদের যাত্রা শুরু
  • বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন
  • জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির 
  • মিথ্যা প্রচার দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে: মির্জা ফখরুল
  • বাংলাদেশের শত্রুতারা আবার মাথা মাথাচারা দিয়ে উঠতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
  • বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাইজিংবিডির রুমন চক্রবর্তী
  • ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
  • ইসমাইল হোসেন (মুরুব্বী) এর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া