ভারতের ওপর শুল্ক আরো বৃদ্ধি করবেন ট্রাম্প
Published: 5th, August 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখায় তিনি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভারতীয় আমদানির উপর আরোপিত শুল্ক ‘অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে’ বৃদ্ধি করবেন।
তিনি সিএনবিসিকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ভারত একটি ভালো বাণিজ্যিক অংশীদার নয়, কারণ তারা আমাদের সাথে অনেক ব্যবসা করে, কিন্তু আমরা তাদের সাথে ব্যবসা করি না। তাই আমরা ২৫ শতাংশের উপর মীমাংসা করেছি কিন্তু আমার মনে হয় আমি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করব, কারণ তারা রাশিয়ান তেল কিনছে।”
গত মাসে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর বাইরে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার অপরাধে ট্রাম্প ভারতকে আরো জরিমানা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত অপরিশোধিত তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতীয় পরিশোধকদের আলাদা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করেছিল। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের আমদানি ‘বিশ্ব বাজার পরিস্থিতির কারণে বাধ্যতামূলক একটি প্রয়োজনীয়তা’ হলেও, এর সমালোচনাকারী দেশগুলো নিজেরাই ‘রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যে লিপ্ত’, এমনকি যখন ‘এই ধরনের বাণিজ্য এমনকি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যবাধকতাও নয়।’
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কেনিয়ায় কারা এই ‘ম্যাডাম’, কীভাবে শিশুদের বিপদগামী করেন তাঁরা
আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় শিশুদের যৌনবৃত্তিতে জড়াচ্ছেন কিছু নারী। সেখানে এসব নারীকে ‘ম্যাডাম’ নামে ডাকা হয়ে থাকে। তাঁরা মাত্র ১৩ বছর বয়সী শিশুদের পর্যন্ত যৌনকর্মে জড়াতে বাধ্য করছেন। বিবিসি আফ্রিকা আই–এর এক অনুসন্ধানে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
কেনিয়ার রিফট ভ্যালির ট্রানজিট শহর মাই মাহিউতে দিনরাত ট্রাক ও লরি চলাচল করে। পণ্য ও মানুষ নিয়ে এসব যানবাহন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, এমনকি উগান্ডা, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ সুদান ও কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রের মতো অন্য দেশ পর্যন্ত যায়।
শহরটির অবস্থান নাইরোবি থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরে। এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি আগে থেকেই যৌন ব্যবসার জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন এটি শিশুদের যৌন নিপীড়নের জায়গাও হয়ে উঠেছে।
চলতি বছরের শুরুতে বিবিসি আফ্রিকা আইয়ের দুজন নারী অনুসন্ধানী প্রতিবেদক যৌনকর্মী সেজে ওই শহরের যৌন ব্যবসা চক্রের ভেতরে ঢুকে পড়েন। ওই দুই অনুসন্ধানী সাংবাদিক এমন ভাব করছিলেন, যেন কীভাবে ‘ম্যাডাম’ হওয়া যায়, তা তাঁরা শিখতে চান।
ওই দুই সাংবাদিক গোপনে কিছু ভিডিও ধারণ করেছেন। ভিডিওতে অন্য দুজন নারীকে কথা বলতে শোনা যায়। তাঁরা বলছিলেন, এটা যে বেআইনি কাজ, তা তাঁরা জানেন। এরপর ওই দুই নারী বিবিসির সাংবাদিকদের সঙ্গে যৌন পেশায় জড়িত কয়েকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের পরিচয় করিয়ে দেন।
আরও পড়ুনঅনলাইনে যৌন নিপীড়নের শিকার বছরে ৩০ কোটি শিশু ২৮ মে ২০২৪বিবিসি ওই ভিডিও এবং তাদের পাওয়া সব তথ্য গত মার্চে কেনিয়ার পুলিশকে দেয়। বিবিসির ধারণা, এরপর ‘ম্যাডামরা’ তাঁদের জায়গা বদলে ফেলেছেন। পুলিশ বলেছে, যেসব নারী ও মেয়েদের ভিডিওতে দেখা গেছে, তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
কেনিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। মামলায় জিততে হলে পুলিশের ও সংশ্লিষ্ট শিশুর সাক্ষ্য দরকার হয়। কিন্তু বেশির ভাগ সময় শিশুরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে ভয় পায়।
কেনিয়ার রিফট ভ্যালির ট্রানজিট শহর মাই মাহিউতে দিনরাত ট্রাক ও লরি চলাচল করে। পণ্য ও মানুষ নিয়ে এই যানবাহনগুলো দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, এমনকি উগান্ডা, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ সুদান ও কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্র পর্যন্ত যায়।বিবিসির রাতের আঁধারে গোপনে ধারণ করা ঝাপসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক নারী নিজেকে ‘নিয়ামবুরা’ নামে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি হেসে হেসে বলছেন, ‘তারা তো এখনো বাচ্চা। তাই একটু মিষ্টি দিলেই সহজে কাবু করে ফেলা যায়।’
নিয়ামবুরা নামের ওই নারী বলেন, ‘মাই মাহিউতে যৌনবৃত্তি যেন নগদ ফসলের মতো। ট্রাকচালকেরাই এর মূল চালিকাশক্তি। আমরা সেখান থেকেই মুনাফা করি। মাই মাহিউতে এটা এখন একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে।’
কেনিয়ার সাবেক যৌনকর্মী ‘বেবি গার্ল’ এখন জনসচেতনতামূলক কাজ করেন