বলটা আমিনুল ইসলাম বুলবুল সরকারের কোর্টেই ফেললেন। অক্টোবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘুণাক্ষরেও ইচ্ছা নেই তার। সেই প্রক্রিয়াতেই যেতে চান না তিনি এবং কোনো প্রস্তুতি, পরিকল্পনাও নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে কাজ করার ইচ্ছা আছে। 

টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলার কথা জানিয়ে বোর্ডের সর্বোচ্চ আসনে বসার পর তার অনুধাবন, এখানে টেস্টই খেলতে হবে। সেজন্য লম্বা সময় প্রয়োজন। সেই সময় পেতে থাকতে হবে বোর্ড সভাপতি হয়ে। 

আরো পড়ুন:

‘ভুল জায়গায় দাঁড়িয়েছেন নাজমুল আবেদীন, হোম ওয়ার্ক করেনি পাইলট’

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিসিবির নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন

নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং নির্বাচিত হওয়া ছাড়া তা কীভাবে সম্ভব? সম্ভব হতেও পারে। সরকার যেভাবে তাকে বিসিবির হটসিটে বসিয়েছে, সেভাবেই আমিনুল থাকতে পারেন। তারও থাকার ইচ্ছা আছে। এজন্য বলটা সরকারের কোর্টেই ফেললেন তিনি। 

‘‘আমি আগেও বলেছি যে আমি কখনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। আমি কীভাবে করব? এর জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ আমার কাছে নেই। আমি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এখানে এসেছি। যদি তারা আমাকে চালিয়ে যেতে চায়, আমি থাকব এবং আমার সেরাটা দেব।’’ – বলেছেন আমিনুল ইসলাম। 

লম্বা ইনিংস খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি আরো যোগ করেন, ‘‘অনেক বিভ্রান্তি আছে। সবকিছু পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এখন, আমি একটি দীর্ঘ ইনিংস খেলার চেষ্টা করছি।’’

সূচি অনুযায়ী অক্টোবরে নির্বাচন হবে কি-না তা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। কেননা নির্বাচনের এখনো কোনো হাকডাক নেই। যা নিয়ে এরই মধ্যে অভিযোগ তুলেছে ঢাকা লিগের ৭৬টি ক্লাবের সংগঠকদের সংগঠন ‘ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশন’। রবিবার (২৪ আগস্ট) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বিসিবি নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিতের কথা জানিয়েছেন তারা।

আমিনুল ইসলাম ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত উড়িয়ে দিয়েছেন, ‘‘বর্তমান বোর্ডের সদস্য হিসেবে আমাদের মনোযোগ ক্রিকেট। নির্বাচন অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে হবে। নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শিগগিরিই ঘোষণা করা হবে।’’

সরকার পরিবর্তনের পর ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হন। বছর না ঘুরতেই তাকে সরিয়ে আমিনুল ইসলাম বোর্ডের দায়িত্ব নেন। তখন তিনি আইসিসির চাকরি করছিলেন। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অনুরোধে আমিনুল আইসিসির চাকরি থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসে বিসিবির শীর্ষ পদ গ্রহণ করেছিলেন। তার কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে তা কিছু দিনের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। 

ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম ন ল ইসল ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা