মসনদে থাকার ইচ্ছা আমিনুলের, কিন্তু…
Published: 25th, August 2025 GMT
বলটা আমিনুল ইসলাম বুলবুল সরকারের কোর্টেই ফেললেন। অক্টোবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘুণাক্ষরেও ইচ্ছা নেই তার। সেই প্রক্রিয়াতেই যেতে চান না তিনি এবং কোনো প্রস্তুতি, পরিকল্পনাও নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলার কথা জানিয়ে বোর্ডের সর্বোচ্চ আসনে বসার পর তার অনুধাবন, এখানে টেস্টই খেলতে হবে। সেজন্য লম্বা সময় প্রয়োজন। সেই সময় পেতে থাকতে হবে বোর্ড সভাপতি হয়ে।
আরো পড়ুন:
‘ভুল জায়গায় দাঁড়িয়েছেন নাজমুল আবেদীন, হোম ওয়ার্ক করেনি পাইলট’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিসিবির নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন
নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং নির্বাচিত হওয়া ছাড়া তা কীভাবে সম্ভব? সম্ভব হতেও পারে। সরকার যেভাবে তাকে বিসিবির হটসিটে বসিয়েছে, সেভাবেই আমিনুল থাকতে পারেন। তারও থাকার ইচ্ছা আছে। এজন্য বলটা সরকারের কোর্টেই ফেললেন তিনি।
‘‘আমি আগেও বলেছি যে আমি কখনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। আমি কীভাবে করব? এর জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ আমার কাছে নেই। আমি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এখানে এসেছি। যদি তারা আমাকে চালিয়ে যেতে চায়, আমি থাকব এবং আমার সেরাটা দেব।’’ – বলেছেন আমিনুল ইসলাম।
লম্বা ইনিংস খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি আরো যোগ করেন, ‘‘অনেক বিভ্রান্তি আছে। সবকিছু পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এখন, আমি একটি দীর্ঘ ইনিংস খেলার চেষ্টা করছি।’’
সূচি অনুযায়ী অক্টোবরে নির্বাচন হবে কি-না তা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। কেননা নির্বাচনের এখনো কোনো হাকডাক নেই। যা নিয়ে এরই মধ্যে অভিযোগ তুলেছে ঢাকা লিগের ৭৬টি ক্লাবের সংগঠকদের সংগঠন ‘ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশন’। রবিবার (২৪ আগস্ট) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বিসিবি নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিতের কথা জানিয়েছেন তারা।
আমিনুল ইসলাম ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত উড়িয়ে দিয়েছেন, ‘‘বর্তমান বোর্ডের সদস্য হিসেবে আমাদের মনোযোগ ক্রিকেট। নির্বাচন অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে হবে। নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শিগগিরিই ঘোষণা করা হবে।’’
সরকার পরিবর্তনের পর ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হন। বছর না ঘুরতেই তাকে সরিয়ে আমিনুল ইসলাম বোর্ডের দায়িত্ব নেন। তখন তিনি আইসিসির চাকরি করছিলেন। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অনুরোধে আমিনুল আইসিসির চাকরি থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসে বিসিবির শীর্ষ পদ গ্রহণ করেছিলেন। তার কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে তা কিছু দিনের মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম ন ল ইসল ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন বাতিলের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান সিপিবির
আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ‘নির্বাচন বাতিল বা বিলম্বের ষড়যন্ত্র’ রুখে দিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে হলে সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন সেনপাড়ায় সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় এ আহ্বান জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তরের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান এবং সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের এই শাখার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি আহাম্মদ সাজেদুল হক, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক লূনা নূর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোতালেব হোসেন ও মহানগর কমিটির সদস্য রিয়াজ উদ্দিন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী সাজ্জাদ জহির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত চার মূলনীতি সমুন্নত রাখতে হবে। শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করতে শ্রমিক, কৃষক, যুব ও নারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে। বামপন্থীদের সরকার গঠন করতে সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাঁদের নেতৃত্বেই আগামী দিনের ক্ষমতায় লড়াইকে অগ্রসর করতে হবে।
সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান ছিল, আজ তারাই রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেবল ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, ব্যবস্থার পরিবর্তনই সময়ের দাবি। কমিউনিস্টরা সেই ব্যবস্থার পরিবর্তনের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আহ্বান জানাই, গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত হলো নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী নির্বাচন। আগামীকাল থেকেই আমরা জাতীয় নির্বাচনের কাউন্টডাউন (ক্ষণগণনা) দেখতে চাই।’
নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু না হলে জনগণের মধ্যে অনিশ্চয়তা বাড়বে বলে উল্লেখ করেন রুহিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত হলো নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী নির্বাচন। সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতি, লুটপাট ও শোষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বদলের সংগ্রামকে জনগণের আন্দোলনে রূপ দেবে।’
সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের দেশীয় দোসরদের হাতে দেশের সম্পদ লুট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিপিবির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি আহাম্মদ সাজেদুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখনো অনিশ্চিত যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না। কারণ, বর্তমান সরকার এখনো সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি। জনগণ আজ অর্থনৈতিক সংকট, বৈষম্য ও দুর্নীতির শিকার। একদিকে জনগণের ঘামঝরানো টাকায় দেশ চলছে, অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা দেশের সম্পদ লুট করছে। সমুদ্রবন্দর, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগসহ জাতীয় সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।