বন্দরে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 31st, August 2025 GMT
বন্দরে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের ২ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চর ইসলামপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সহ সভাপতি ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহাবুব আলম (৪৮) ও বন্দর থানার চাপাতলি এলাকার মৃত হাজী রশিদ মিয়ার ছেলে ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন মাহমুদ (৫৫)।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্য যুবলীগ নেতা মাহাবুব আলমকে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১৮(২)২৫ ও অপর ধৃত নাজিম উদ্দিন মাহমুদকে বন্দর থানার অপর দায়েরকৃত ১৭(৮)২৪ নং মামলায় রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বন্দরে দায়েরকৃত ২টি পৃথক রাজনৈতিক মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে বন্দর থানার চর ইসলামপুর ও চাঁপাতলী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে,গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং সকাল ১১টায় বন্দর থানার একরামপুরস্থ কদম রসুল কলেজের সামনে ধৃত যুবলীগ নেতা মাহাবুব আলমসহ আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির দোসররা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আশিককে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ব্যাপারে আহত আশিক বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়াও গত ২০ জুলাই ২০২৪ইং রাত পৌনে ৪টায় বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এম এ সালাম, ও তার ২ ভাই শাহ আলম ও আলী নূর ও যুবলীগ নেতা অহিদ নেতৃত্বে ধৃত আসামী নাজিম উদ্দিন মাহমুদসহ ৩৬ জন এজাহারভূক্ত আসামীসহ অজ্ঞাত নামা ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী আধিপত্য বিস্তারসহ উপজেলা বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম হিরনের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলাসহ গুলি বর্ষন করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি সভাপতি হিরন বাদী হয়ে বন্দর থানায় ১৭(৮)২৪ নং মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন মাহমুদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বল গ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ল গ য বল গ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
স্তম্ভিত হারমানপ্রীত, আবেগ-রোমাঞ্চ-গর্ব-ভালোবাসায় মিলেমিশে একাকার
২০০৫ ও ২০১৭, ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডে বিশ্বকাপের খুব কাছে গিয়েও শিরোপা জিততে পারেননি। হারমানপ্রীত কৌররা লম্বা সেই অপেক্ষা দূর করলেন দুই হাজার পঁচিশে।
মুম্বাইয়ের নাভিতে প্রায় ষাট হাজার দর্শকের সামনে উচিুঁয়ে ধরলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা। ২০১৭ সালের ফাইনালেও খেলেছিলেন হারমানপ্রীত। রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। এবার আর ভুল করলেন না। অধিনায়ক হয়ে জিতলেন শিরোপা। গড়লেন ইতিহাস। যে ইতিহাস কখনো মুছবে না। কখনো জং ধরবে না।
ঝলমলে হাসিতে হারমানপ্রীত ট্রফি হাতে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করেন। এবার তার আবেগের ধরণ ছিল ভিন্ন, যেন স্বপ্ন পূরণের মাখামাখি। লম্বা সংবাদ সম্মেলন জুড়ে বারবার তার কণ্ঠ ধরে আসে। আবেগ, রোমাঞ্চ, গর্ব, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তবে একটি শব্দের ওপর বারবার ফিরে আসছিলেন তিনি, তা হলো আত্মবিশ্বাস,
‘‘আমি কেবল আমার অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। আমি স্তম্ভিত, আমি বুঝতে পারছি না। আসলে, এতে উত্থান-পতন ছিল, কিন্তু দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল। আমি প্রথম দিন থেকেই এটা বলে আসছি। আমরা বাম বা ডানে তাকাচ্ছিলাম না। আমরা কেবল আমাদের মূল লক্ষ্যের দিকে তাকিয়েছিলাম।’’ - বলেছেন হারমানপ্রীত।
স্বপ্ন পূরণের রাতে হারমানপ্রীত কাছে পেয়েছিলেন সাবেক তিন ক্রিকেটার মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামী এবং অঞ্জুম চোপড়াকে। প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর। তাদের অধরা সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন জেমিমা, দীপ্তি, শেফালি, স্মৃতিরা।
শিরোপা উৎসবে যোগ দেন মিতালি, ঝুলন, আঞ্জুমরা। তাদের হাতেও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সাথে সেই মুহূর্তটি ভাগ করে নেওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হারমানপ্রীত বলেন, ‘‘ঝুলন দি আমার সবচেয়ে বড় আইডল ছিলেন। যখন আমি দলে যোগ দিই, তখন তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আমি যখন খুব কাঁচা ছিলাম এবং ক্রিকেট সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না, তখনও তিনি সবসময় আমাকে সমর্থন করতেন। অঞ্জুম দি-ও তাই। এই দুজন আমার জন্য দারুণ সমর্থন ছিলেন। আমি কৃতজ্ঞ যে আমি তাদের সাথে এই বিশেষ মুহূর্তটি ভাগ করে নিতে পেরেছি। এটি খুব আবেগপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। আমার মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে, আমরা এই ট্রফি স্পর্শ করতে পেরেছি।’’
তার জন্য বিশ্বকাপের পুরো অভিযানটিই ছিল গভীরভাবে আবেগপূর্ণ। রাউন্ড রবিন লিগে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হার। চোট, অফ ফর্ম, জড়তা। সব সামলে সেরা হয়েছেন। তাইতো নিজেদের নিয়ে গর্বটাও বেশি হারমানপ্রীতদের, ‘‘আমরা প্রথম বল থেকেই অনুভব করেছিলাম যে আমরা জিততে পারি, কারণ শেষ তিন ম্যাচে আমাদের দল যেভাবে খেলছিল, তাতে আমাদের জন্য অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছিল, বিশেষ করে আমাদের আত্মবিশ্বাস। আমরা অনেকদিন ধরেই ভালো ক্রিকেট খেলছি। আমরা জানতাম দল হিসেবে আমরা কী করতে পারি।”
"গত এক মাস খুব আকর্ষণীয় ছিল। সেই দিনটির (ইংল্যান্ডের কাছে হারের) পর আমাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসে। সেই রাত আমাদের জন্য অনেক কিছু বদলে দিয়েছিল। এটি প্রত্যেকের উপর প্রভাব ফেলেছিল। আমরা বিশ্বকাপের জন্য আরও প্রস্তুত হলাম। আমরা ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং মেডিটেশন শুরু করেছিলাম। আমরা বারবার বলছিলাম, যে জন্য আমরা এখানে এসেছি এবং এবার আমাদের এটা করতেই হবে।" - যোগ করেন হারমানপ্রীত।
প্রথম যে কোনো কিছুই আনন্দের। রোমাঞ্চের। এই অভিজ্ঞতা শব্দে বয়ান করা যায় না। বয়ান করা সম্ভব হয় না। হারমানপ্রীতও পারেন না নিজের সবটা উজার করে বলতে। তবে এই শিরোপায় তাদের নাম লিখা হবে সেই আত্মবিশ্বাস তারও ছিল, ‘‘আমরা বহু বছর ধরে এটি নিয়ে কথা বলছি—আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি, কিন্তু আমাদের একটি বড় শিরোপা জিততেই হতো।"
ঢাকা/ইয়াসিন