জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির কমিটি গঠন
Published: 31st, August 2025 GMT
উৎসব মুখর পরিবেশে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নতুন নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আছিয়া আক্তার ও মহাসচিব মোঃ আলমগীর গনির অনুমোদনক্রমে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষনা করেন।
নবগঠিত কমিটিতে মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফকে সভাপতি ও মোঃ রিয়াজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার একটি কমিটি ঘোষনা করেন।
নবগঠিত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে মোঃ রনি মিয়া, সহ-সভাপতি পদে আব্দুল আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক: মোহাম্মদ হোসেন আহমেদ, এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আরও কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা কমিটিকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করেছে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সর্বস্তরের সাংবাদিকদের মধ্যে আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, এই কমিটি সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, পেশাগত মান উন্নয়ন, তথ্যের সঠিক ব্যবহার এবং মুক্ত সাংবাদিকতা চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। নব কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আছিয়া আক্তার এবং মহাসচিব মোঃ আলমগীর গনি সহ সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, তারা জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের আরও ঐক্যবদ্ধ করা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, জনস্বার্থ রক্ষা এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সাংবাদিকতার শক্তিশালী ভূমিকা নিশ্চিত করতে কাজ করবেন।
তারা আরও জানান, গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্র ও সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। তাই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করাই হবে এ কমিটির মূল অঙ্গীকার।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।
সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।
তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।
সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।
প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।
কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।