রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অল্পের জন্য বাঁচল আফগানিস্তান
Published: 6th, September 2025 GMT
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দর্শকরা নিশ্বাস আটকে রেখেছিলেন। শেষ ওভারে আরব আমিরাতের দরকার ছিল ১৭ রান। স্টেডিয়ামজুড়ে তখন গ্যালারিতে উত্তেজনার ঝড়। বাঁহাতি পেসার ফারিদ আহমাদের প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন আসিফ খান। মনে হচ্ছিল অঘটন ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানকে হারানোর স্বপ্ন পূরণ হলো না আমিরাতের। ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করল রশিদ খানের দল।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ গ্রুপ ম্যাচটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। কারণ, এর আগেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছিল আফগানিস্তান। আর বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল আমিরাতের। তবুও ম্যাচে লড়াইয়ের তীব্রতা কমেনি একটুও।
আরো পড়ুন:
অবসর ভেঙে ফিরলেন রস টেইলর, তবে অন্য দেশের জার্সিতে
ফের আলোচনায় বিসিবি নির্বাচন, গানম্যান চাইলেন সভাপতি
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগান ওপেনাররা শক্ত ভিত গড়ে দেন। ইব্রাহিম জাদরান (৪৮) ও রাহমানউল্লাহ গুরবাজ (৪০) উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৯৮ রান। শেষ দিকে কারিম জানাতের ঝড়ো ২৮ রান, সঙ্গে গুলবাদিন নাইব ও আজমাতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭০ রান তোলে আফগানিস্তান। অসাধারণ ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ইব্রাহিম জাদরান।
লক্ষ্য তাড়ায় জয়ের আশা জাগিয়েছিল আমিরাতও। অধিনায়ক মুহাম্মাদ ওয়াসিম করেন ৪৪ রান, সঙ্গ দেন ওপেনার আলিশান শারাফু (২৭)। তবে মূল লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিলেন আসিফ খান। ২৮ বলে ৪০ রান করে প্রায় একাই টেনে নিয়েছিলেন দলকে। শেষ তিন বলে ৫ রান দরকার থাকলেও সাহসী ইনিংসটা শেষ হয় ক্যাচ তুলে দিয়ে। স্বপ্ন ভাঙে আমিরাতের, বেঁচে যায় আফগানিস্তান।
এবার সামনে অপেক্ষা আরেক হাইভোল্টেজ লড়াই। আগামী রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন আফগ ন স ত ন আম র ত র
এছাড়াও পড়ুন:
নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত
পাবনায় নামাজরত অবস্থায় নিজাম প্রামানিক (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তফা প্রামানিককে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আটক করতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন সদর থানার তিন উপ-পরিদর্শক (এসআই)।
রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরাতন ভাদুরডাঙ্গী গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত
নিহত নিজাম প্রামাণিক একই গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন। অভিযুক্ত মোস্তফা প্রামাণিকও কৃষকের কাজ করতেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিজাম প্রামানিক নতুন বাজারে দুধ বিক্রি করে রবিবার সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন। খাবার শেষে এশার নামাজ পড়তে দাঁড়ান তিনি। এ সময় ঘরে প্রবেশ করে দরজা আটকিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে নিজাম প্রমানিককে কুপিয়ে হত্যা করেন মোস্তফা। পরে তিনি পাশের ঘরে গিয়ে বসে থাকেন। অভিযুক্তকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ রেখে পুলিশকে খবর দেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান, এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিহতের অপর ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা খাবার শেষে রুমে শুয়ে ছিলাম। এমন সময় রুম আটকিয়ে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে মোস্তফা। এর আগেও সে আমাকে মেহগনি ঢাল দিয়ে মারধর করে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকে (রবিবার) হত্যা করতে গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে আমাকে মাঠের মধ্যে গিয়ে খুঁজাখুঁজি করেছে। বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাকে সতর্ক করে।”
তিনি আরো বলেন, “সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের থেকে টাকা চাইতো। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাতো। তার শাস্তি হওয়া উচিত।”
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তাকে আটক করতে গিয়ে তিনজন এসআই আহত হয়েছেন।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ