ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিকশিত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক আলোচনাসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

ডাকসুর ভোট গণনা সরাসরি দেখা যাবে

প্রস্তুত ঢাবি ক্যাম্পাস, কাল ভোট  

ফারুক বলেন, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চালিকাশক্তি হবে তরুণ সমাজ। শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া ছাত্রদল অতীতে রক্ত ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে তাদের দেশভক্তি। খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব ও তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় আগামীকাল ডাকসু নির্বাচনে তারা অগ্নিপরীক্ষায় অংশ নেবে।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষের অটুট ভালোবাসা, বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের ধৈর্য আজও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে, কিন্তু বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে ছাত্রদলকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা স্তব্ধ করে রেখেছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। তবে বিএনপি ও এর সহযোগী শক্তি জনগণকে সাথে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি ইব্রাহিম, সিরাজীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/রায়হান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ