ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মোহিনী। নব্বই দশকের ভক্তরা তাকে ভোলার কথা নয়। এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা নানা ভাষার সিনেমায় কাজ করেছেন। বড় বড় তারকাদের সঙ্গে স্ত্রিন ভাগ করে নিয়েছেন। তার সাবলীল অভিনয়, আকর্ষণীয় উপস্থিতি মুগ্ধ করেছে অসংখ্য অনুরাগীকে।
মোহিনী অভিনীত ‘কানমণি’ সিনেমা ১৯৯৪ সালের ৩১ জুলাই মুক্তি পায়। তামিল ভাষার এ সিনেমা মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসা কুড়ান এই অভিনেত্রী। এ সিনেমায় স্বল্পবসনে অভিনয় করে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। কেবল তাই নয়, কেঁদেছিলেন মোহিনী। কয়েক দিন আগে বিকটন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকার এসব তথ্য জানান মোহিনী।
আরো পড়ুন:
সেরা অভিনেতা আল্লু, অভিনেত্রী রাশমিকা
কখনো কাঁধে মাথা, কখনো হাতে হাত, সামান্থার প্রেম অন্তর্জালে সয়লাব
মোহিনী বলেন, “পরিচালক আর.
পরের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মোহিনী বলেন, “আমি অর্ধেক দিন কাজ করে ওদের যা দরকার ছিল, তা দিয়েছিলাম। পরে ওরা বলল, ‘একই দৃশ্য আবার ওটিতে শুট করতে হবে।’ আমি সাফ বলে দিই, ‘করব না।’ তারা বলে, ‘শুট বন্ধ হয়ে যাবে।’ আমি বলি, ‘এটা তোমাদের সমস্যা, আমার নয়। আগেও যেমন জোর করে করিয়েছিলে, এটা তেমনই ছিল।’ ‘কানমণি’ ছিল একমাত্র সিনেমা যেখানে আমাকে অতি গ্ল্যামারাস দেখানো হয়েছিল—আমার সম্মতি ছাড়াই। কখনো কখনো এমন কিছু ঘটে, যা একেবারেই নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়; এই দৃশ্যটি ঠিক তেমনই ছিল।”
দুই দশকের ক্যারিয়ারে মোহিনী অভিনয় করেছেন দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের প্রায় সব বড় বড় তারকার সঙ্গে। এ তালিকায় রয়েছেন—শিবাজি গণেসান, নান্দামুরি বালাকৃষ্ণ, চিরঞ্জীবী, মোহনলাল, মাম্মতি, শিবরাজকুমার, বিজয়কান্ত, বিষ্ণুবর্ধন, বিক্রম, সরথকুমার প্রমুখ।
মোহিনী অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো—মারুমাগাল, আদিত্য ৩৬৯, হিটলার, নাডোডি, গাডিবিডি আলিয়া, লালি প্রমুখ। তাছাড়া বলিউড সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন মোহিনী। ১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ড্যান্সার’ সিনেমায় অক্ষয় কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে